শিরোনাম
বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের ম্যারিয়টে একটি হোটেলের বলরুমে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত সার্বজনীন নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ডিজিটাল সুবিধা নিয়ে একটি দেশবিরোধী চক্র দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এসময় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেও নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করেন সরকারপ্রধান।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ক্ষমতার বদলে যদি কেউ অন্য কোনো পন্থায় ক্ষমতায় আসতে চায়, তাহলে তাদের সাজা পেতে হবে। অবৈধভাবে ক্ষমতা নেবার কোন সুযোগ নেই। আমরা গণতান্ত্রিক ধারা এনেছি, সেটা অব্যাহত থাকবে।
কে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের হাল ধরবে সেটা ঠিক করে দেবে দেশের জনগণ ও দল আওয়ামী লীগ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এটা বলছে, তাদের দেশের নির্বাচন নিয়েও তো সমস্যা আছে। আমরা তো দেখতে পারছি, তারা তাদের বিরোধী দলের সঙ্গে কি করছে। আমরা তো তাও করিনি।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আপনারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করুন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তাদের কাছে তুলে ধরবেন। কেননা, তাদের কাছে অভিযোগ করেই একটা গোষ্ঠী দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চুরি করা টাকা দিয়ে এখন আন্দোলনে খরচ করছে বিএনপি। ক্ষমতার মধু খেতে পারছে না, সেজন্যই দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি বলে সমালোচনা করছে দলটি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দুর্নীতি ছাড়া বিএনপি দেশকে কিছুই দিতে পারেনি। আসলে দেশে ভোট হোক, এটাই তারা চায় না। দেশবিরোধী মিথ্যা-অপপ্রচার ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করা উচিত, তাদের মুখোশ উন্মোচন করা উচিত।
তিনি বলেন, বিশ্বনেতারা যখন বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বীকৃতি দিচ্ছে তখন কয়েকটা চোর-চোট্টা কী বললো তাতে কান দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই আমাদের।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত পুলিশের ওপর আঘাত করে। তখন পুলিশ সেটা প্রতিরোধ করলে সেটাও ফলাও করে প্রচার করা হয়। তবে এখন মিডিয়ার যুগ, মিডিয়া সব তথ্যগুলো ভালো করে দেখাক। দেখালে এবার যারা স্যাংশন দিতে চায় তারা তখন ওটাও দেখবে। একতরফা দেখবে না। শুরুটা কারা করলো সেটা আগে দেখতে হবে। তখন তারা স্যাংশন দিক।
এর আগে জাতিসংঘে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে জোরালো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
শুরুর আগেই কানায় কানায় ভরে উঠে সংবর্ধনা সভাটি। এসময় নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে রাখেন পুরো হল রুম।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।