শিরোনাম
ড. ইউনুস এবং তার বন্ধুরা এখনও অর্থ খরচ করে বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে কোরিয়া-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক শক্তি বিষয়ক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনূসের বিপক্ষে চলমান মামলা বন্ধে ১৬০ আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের আহ্বান নজিরবিহীন।
তিনি আরও বলেন, যারা এই বিচার বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন, তারা বিচার পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। বিচার বা তদন্ত যে কোনো ব্যক্তির বিপেক্ষই চলতে পারে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, মুক্ত বাকের বিশ্বে যে অবস্থান থেকে যে কেউ কিছু বলতে পারে। যেভাবে বলি না কেন, এখানে সরকারের কোনো প্রভাব ছিল না। ভবিষ্যতেও থাকবে না। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। স্বাধীন বিচার বিভাগ যেটা মনে করেন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে তাই করেন। বিচার বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবেন এবং বিচার চলবে।
একটি বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করার আহ্বান দুঃখজনক উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমি মনে করি না, যারা এই আবেদনে শামিল হচ্ছেন তারা তাদের খ্যাতির প্রতি ন্যায়বিচার করেছেন। একটা বিচারকে তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। কিন্তু একজন ব্যক্তি যিনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, যিনি শত শত হাজার মানুষকে নিয়োগ করেছেন; যার সম্পদ আছে তার তো একটা লিগ্যাল ইস্যু থাকতে পারে। তার মানে এই না সে অপরাধী হয়েই যাবে, আর সেটা অনুসন্ধান করা যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি বা তার লোকজন এখনও অর্থ বিনিয়োগ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু এ মামলার সঙ্গে ওটার কোনো সম্পর্ক নেই।
ড. ইউনূস ইস্যুতে বিদেশি বন্ধুদের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে কি না জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সঠিক তথ্য সরবরাহ করব। অতীতেও আমরা করেছি। এখনও আমাদের দূতাবাসগুলো করে যাচ্ছে। আমরা তাদের কাছে এটার যতটুকু জানি তুলে ধরব।
তিনি বলেন, একটা বিচারাধীন বিষয়ে সরকার বা আমাদের দূতাবাস বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন করে ব্যাখ্যা বা বলার কিছু নেই। কারণ আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে। আমরা তাদের এ অনুরোধটুকু করব, বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন। চিন্তার কোনো কারণ নেই।