শিরোনাম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। দ্রুতই তা অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ সম্পর্কে জানতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় একথা জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। একারণে ক্ষমতা থাকাকালে বিচারের উদ্যোগ নেননি তিনি, বরং ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করেছেন।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক ও জিয়া ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করেছন উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে এরকম আইন বিরল।
১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ২১ আগস্ট হামলার পর খালেদা বললেন, গ্রেনেড হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে বেরিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ঘটনায় ২১ বছর বিলম্বের কারণে সব খুনিকে এনে ফাঁসি দেওয়া কষ্টের কাজ। এমন ন্যাক্কারজনক হত্যার পরও বিনা কারণে সাতজন বিচারপতি মামলা শুনতে বিব্রতবোধ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, মওদুদ আহমদ আইনমন্ত্রী থাকার সময় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার শুনানি শুরু করতে দুজন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ করতে আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু করেননি। এখন বিএনপির কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশের মানুষ যদি বিচারক হয়, বঙ্গবন্ধু হত্যার সারকামস (এভিডেন্স) দেখা যাবে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এ কারণে ক্ষমতা থাকাকালে এর বিচারের উদ্যোগ নেননি তিনি। বরং ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়ে হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, কিন্তু পেছনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়নি।