২১ আগস্টের হামলায় বিএনপির সরাসরি নির্দেশনা ছিল: আইনমন্ত্রী

ফানাম নিউজ
  ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০৩:১৬

২০০৪ সালের ২১ আগস্টের বোমা হামলায় বিএনপির সরাসরি নির্দেশনা ছিল মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের অপরিপূর্ণ ষড়যন্ত্র পরিপূর্ণ করতেই বিএনপি ২১ আগস্টের বোমা হামলা চালায়।

তিনি বলেন, এ ঘটনার তারা কোনো সুষ্ঠু তদন্ত করেনি। তদন্ত করলে দেখা যাবে, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া জড়িয়ে যাবে। এ জন্য সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘সন্ত্রাস-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের অভয়াশ্রম বিএনপি-জামায়াতের নির্দেশে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস’ স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, যারা পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর দালাল ছিল, যারা এখন মুসলিম লীগের শেরওয়ানি ছেড়ে দিয়ে বিএনপির কাপড় পরা শুরু করছে তারাই তখন বঙ্গবন্ধুর শত্রু এবং এখনো আছে। তারা কিছু মীরজাফর কিছু কুলাঙ্গারের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করে। এ হত্যার কারণ ছিল বঙ্গবন্ধু আর বাংলাদেশ যে অবিচ্ছেদ্য তার মাঝে বিচ্ছেদ তৈরি করা। তারা ভেবেছিল তাকে হত্যা করলে বাংলাদেশকে হত্যা করা হবে। তারা জানতো যে যদি বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজনকেও বাঁচিয়ে রাখা হয় তাহলে তাদের ষড়যন্ত্র কখনই সফল হবে না। অতঃপর জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বাংলার মানুষের মুক্তির কথা বলেন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং বাংলার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেন। ঠিক সেই সময়টুকুতেই কিন্তু তারা ১৯৭৫ সালের অপরিপূর্ণ ষড়যন্ত্র পরিপূর্ণ করতেই ২১ আগস্টের বোমা হামলা চালায়।

আনিসুল হক বলেন, ওই বোমা হামলায় ২২ জনকে হত্যা করা হলো। তাৎক্ষণিক এর দুটি তদন্ত হয়। একটা মামলা হয়। তারা একজন বিচারপতিকে দায়িত্ব দিলেন। তারা বললেন, এখানে ভারতের হাত আছে। মামলার তদন্তও তারা কিন্তু সুষ্ঠুভাবে করেননি। কারণ তদন্ত করা হলে দেখা যাবে তারেক রহমান ও খালেদা জিয়া জড়িয়ে যাবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, উনার অভ্যাস বিএনপি সবার মতো মিথ্যা কথা বলা। উনি এখন মিথ্যা কথা বলতে বলতে কোন পর্যায়ে চলে গেছেন তা নিজেও জানেন না। তিনি আহাম্মকের মতো মিথ্যা বলে যাচ্ছেন। কারণ তিনি তথ্য না জেনেই মিথ্যা কথা বলেন।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।