কারও আক্কেল থাকলে রাত ৩টায় সংবাদ সম্মেলন ডাকে, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

ফানাম নিউজ
  ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০৩:১৩

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতীয় পত্রিকায় লেখা দেখে বিএনপি অস্থির হয়ে গেছে। তারা যে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে তার প্রমাণ হচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম বিএনপি রাত ৩টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে। কারও যদি ‘আক্কেল’ থাকে তাহলে রাত ৩টায় সংবাদ সম্মেলন ডাকে। সংবাদ সম্মেলন তো সংবাদকর্মীদের নিয়ে ডাকতে হয়।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি তো সত্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব সম্প্রদায় তার প্রশংসা করছে। বিপরীতে যারা ক্ষমতায় আসতে চায় তাদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী, তাদের মধ্যে আছে জঙ্গিরা, জোটে আছে জঙ্গিরা। মৌলবাদী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারা।

তিনি বলেন, একই সঙ্গে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যারা ২১ আগস্ট ঘটিয়েছে, মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেছে তারা তাদের সঙ্গে আছে। তারা যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পায়, গতবার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বে ছিল তখন ৫০০ জায়গায় একসঙ্গে বোমা ফাটায়, এবার ৫ হাজার জায়গায় ফুটবে। দেশটা পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানের পর্যায়ে চলে যাবে, সেই বিশ্লেষণই ভারতীয় পত্রিকায় করেছে।

মন্ত্রী বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে আমাদের এখানে কারা ক্ষমতায় থাকবে, থাকবে না, আছে এগুলো নিয়ে তাদের চিন্তা থাকতেই পারে। সেই বিশ্লেষণ ভারতীয় পত্রিকায় এসেছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা, এটা অন্য কারও সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে না। ভারতের জনগণ, ভারতের সেনাবাহিনী আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের মুক্তিবাহিনীর সাথে জীবন দিয়েছে। কয়েক হাজার কিলোমিটার সীমান্ত তাদের সঙ্গে আমাদের আছে। বাংলাদেশে পরিস্থিতি অস্থির হলে ভারতেও তার প্রভাব পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। যুক্তরাষ্ট্র একটি বড় উন্নয়ন সহযোগী। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। সবার সাথেই আমাদের ভালো সম্পর্ক।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কারা সরকারে থাকবে বা থাকবে না বাংলাদেশের জনগণ সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক।

ভারতের পত্রিকায় বলা হয়েছে ইসলামপন্থিদের যেন মনোনয়ন দেওয়া না হয় সেই বার্তা শেখ হাসিনাকে দেওয়া হবে। এ নিয়ে এক প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি পত্রিকায় লিখেছে সে বিষয়ে তো আমি মন্তব্য করতে পারি না। এটি নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করুন কেন লিখেছে। সংবিধান আমাদের সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ তো অবশ্যই চাই, সব রাজনৈতিক দল যাতে অংশগ্রহণ করে আমরা সেটি চাই। বিএনপি বরং সংবিধান না মেনে এমন একটি কিছু চায় যাতে করে তারা ক্ষমতায় যাবে সেই গ্যারান্টি নির্বাচন কমিশন দিতে পারে। সে ধরনের ব্যবস্থা তো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না। আমরা চাই সংবিধানের মধ্য থেকে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক।