শিরোনাম
বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে গেছে। ওই দলের কোমর বেঁকে গেছে। ওই দল আর দাঁড়াতে পারবে না। গোপলাপবাগে গরুর হাটে কোমর একবার ভেঙেছে। এবার সোহরাওয়ার্দী গিয়ে পথেই হাঁটু ভেঙে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ধৈর্য ধরেন। আওয়ামী লীগ পালাবে না। আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতা বাংলাদেশের জনগণের ক্ষমতা। আমরা পালাবো না। পালিয়েছে আপনাদের (বিএনপি) নেতারা।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের জনসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
করতোয়া, তিস্তা, ধরলা আর কুড়িগ্রামের ১৬টি নদীর সব পানি আজকে রংপুর শহরে চলে এসেছে ঢলের মতো। এটাই হলো স্মরণ কালের সর্ববৃহৎ জনসভা। উত্তরবঙ্গে জীবন দিয়ে বাংলার বীর সন্তানরা স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করেছিল। আর তা সমাপ্ত করেছিলেন টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এখন আগস্ট মাস। তোমাকে স্মরণ করি পিতা। তুমি টুঙ্গিপাড়ার মাজারে চিরনিদ্রায় শুয়ে আছ। তাকে স্মরণ না করলে আমারা অকৃতজ্ঞ হবো। তাকে স্মরণ আমাদের করতেই হবে।
আপনারা যা শুনতে চেয়েছিলেন সময় নাই। আজকে খেলা শুরু করে শেষ করতে পারবো না। খেলো তো হবেই। খেলা হবে। মজাদার খেলা। সময় বেশি নেই। ডিসেম্বেরে ফাইনাল খেলা। প্রস্তুত আছেন? তারা পারবে না।
তারেক রহমান ইলেকশন করতে পারবে? ৩০ বছরের অর্থ পাচারের অপরাধে মুচলেকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে চলে গেছেন। আজকে আবার কত বছরের সাজা হবে জানি না। তার মা খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার যোগ্যতা কি আছে? তিনি এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে আজ সাজাভোগ করছেন।
তিনিও নির্বাচনের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন।
আমাদের আন্দোলনের নেতা জননেত্রী শেখ হাসিনা। ১৫ বছরে যিনি আমাদের অর্জন এনে দিয়েছেন। সে অর্জনের নাম শেখ হাসিনা। রাজপথে সাহস থাকে তো আসেন। রাজপথে খেলা হবে। মোকাবিলা হবে। ফয়সালা হবে। আমরা রাজপথে আছি আবার নির্বাচনেও আছি। যারা রাজপথে হেরে গেছে তারা নির্বাচনেও হেরে যাবে।