শিরোনাম
বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণের নেতারা। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুকে ভারমুক্ত ঘোষণা করেন। এখন থেকে পরবর্তী সম্মেলন পর্যন্ত চাচ্চু স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সভাপতিত্বে ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদ আফজালুর রহমান বাবু। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দেন। এরপর কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও আমাদের জোট এদেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছি। সেই নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৯টা সিট পেয়েছিল- এটা সবার মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি'র অত্যাচার, নির্যাতন, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ সৃষ্টি, হাওয়া ভবন তৈরি করে- সেই পয়সা খাওয়া। এসব কারণে বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি আরো বলেন, এরপরেও বিএনপি কিন্তু বারবার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণের মধ্য থেকে যাদের জন্ম, তারা জনগণের ভোটের অধিকার আবার হরণ করতে চায়, লুটপাট করতে চায়। দেশের মানুষকে আবার অন্ধকার যুগে ঠেলে দিতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে আর ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের মানুষের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরা সাক্ষরতার হার বাড়াতে পেরেছি। প্রতিটি ঘরে আমরা বিদ্যুৎ দিয়েছি। রাস্তা ঘাট পুল, ব্রীজ আমরা উন্নতি করতে পেরেছি। অর্থাৎ বাংলাদেশটা এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ- এটা সারা বিশ্বেই এখন স্বীকার করে। তবে এটা চোখে দেখেনা কারা? ওই লুটেরা, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ বিএনপি সহ এরা চোখে দেখে না। আর আমাদের কিছু আছে বুদ্ধি বেঁচে জীবিকা নির্বাহ করে যারা, তারাও কিছু দেখে না। তাদের আমরা করুণা করতে পারি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সাধারণ মানুষ, সাধারণ জনগণ- তারা সবসময় আমাদের পক্ষে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু সংগঠন করলে হবে না। আমাদের যে উন্নয়নটা আমরা করেছি। এটা মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটা আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন একটা দক্ষ স্মার্ট জনগোষ্ঠী গড়ে তুলবো। আমাদের গভর্নমেন্ট হবে স্মার্ট গভর্নমেন্ট। একদম ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে আমরা সরকার পরিচালনা করবো। আমাদের অর্থনীতি হবে স্মার্ট ইকোনমি। সেটাও আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে করবো। এই ডিজিটাল অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সবকিছু জড়িত। আমাদের সমাজটা হবে পুরোদস্তুর স্মার্ট সমাজ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে। মানুষের সেবার মানসিকতা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের এই আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, একজন রাজনীতিবিদের যেন ভোগ না, ত্যাগের মধ্য দিয়ে, মানুষের সেবার মধ্য দিয়েই সব থেকে বেশি আনন্দ।