শিরোনাম
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সম্প্রতি ১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা যেভাবে বিবৃতি দিয়েছেন, রাজনৈতিক দলের মতো এমন জোটবদ্ধ হয়ে বিবৃতি দেওয়া রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধির যে ভিয়েনা কনভেনশন আছে সেটির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমি বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকে অনুরোধ জানাবো ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলার জন্য।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সাংবাদিকের স্মৃতিভাষ্যে বঙ্গবন্ধু’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। সাংবাদিকরা গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অন্যতম প্রার্থী আশরাফুল আলমের (হিরো আলম) ওপর দুস্কৃতিকারীদের হামলার বিষয়ে ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূতদের দেয়া সম্মিলিত বিবৃতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমার প্রশ্ন- ভারত কিম্বা পাকিস্তানে যখন সহিংসতা হয় কিম্বা আশেপাশের অন্য দেশে যখন সহিংসতা হয় সেখানে রাষ্ট্রদূতরা এ রকম বিবৃতি দেয় না, আমাদের দেশে কেন এ ধরণের বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে? আসলে আমাদের কিছু রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের কেউ কেউ এগুলো দেয়ার জন্য উস্কানি দেয়। সুতরাং রাষ্ট্রদূতদের এ ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার আগে তাদেরকে যারা ‘প্রোভোক’ করে তারা এই ক্ষেত্রে দায়ী। তবে অবশ্যই কূটনীতির বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের আচরণ -সেই ক্ষেত্রেও ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলা প্রয়োজন।
বিএনপি মহাসচিবের দিনাজপুরে দেয়া বক্তব্য ‘সরকার পদত্যাগ না করলে আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকবে না’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যে তো এটি স্পষ্ট যে, উনারা সহিংসতা করতে চায়, সহিংসতা শুরু করেছে। সহিংসতা শুরু করলে সরকার বসে থাকবে না। যারা সহিংসতা করবে, দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে এবং একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের দলও জনগণকে সাথে নিয়ে মাঠে থাকবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষিত লিফলেট বিতরণসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি ফেসবুকে দেখলাম যে রিজভী সাহেব ঢাকা-১৭ আসনের একজন প্রার্থীর ব্যাপারে বলেছেন যে, ‘সে অর্ধ-পাগল, অর্ধ-শিক্ষিত’। কোনো প্রার্থীকে এ রকম অর্ধ-পাগল, অর্ধ-শিক্ষিত বলা সমীচীন নয়।
এর আগে ‘সাংবাদিকের স্মৃতিভাষ্যে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থটি প্রকাশের জন্য পিআইবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছেন এবং সাংবাদিকদের সাথে বঙ্গবন্ধুর শুধু ঘনিষ্ঠ বললে ভুল হবে, আত্মিক সম্পর্ক ছিলো। বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগতভাবে সাংবাদিকদের প্রায় সবাইকেই চিনতেন, তাদের ব্যক্তিগত খোঁজখবর রাখতেন। তাদের প্রয়োজনেও তিনি সাড়া দিতেন। বঙ্গবন্ধুর এই অসাধারণ গুণটি ছিলো। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সেই বিদগ্ধ সাংবাদিকদের লেখনীর সংকলন এই বইটি আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের জন্য তো বটেই যারা সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত আছেন তাদের জন্যও অত্যন্ত উপযোগী, বলেন হাছান মাহমুদ। পিআইবির গবেষক আকিল উজ জামান খান এবং পপি দেবী থাপা বইমোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।