শিরোনাম
রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত প্রিতম-জামান টাওয়ারে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নতুন কেচিগেট ও তালা লাগিয়েছে দেওয়া হয়েছে। নতুন কেচিগেট ও তালা খুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংগঠনটির একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের ধস্তাধস্তি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত নুরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতা শাকিলুজ্জামান।
তিনি বলেন, বিকেলে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা করে। এতে সভাপতি নুরুল হক নুরসহ অন্তত ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নুরকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুর ১২টায় এক পোস্টে নুরুল হক নুর বলেন, ‘অফিস স্টাফ ও উপস্থিত নেতাকর্মীদের মারধর করে কার্যালয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, মনোনয়ন বিক্রির টাকা-পয়সাসহ সব ডকুমেন্টস নিয়ে আমাদের কার্যালয়ে নতুন কেচিগেট ও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। কার্যালয়ের সামনে বহিরাগত ২০-২৫ জন মাস্তানকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। যারা ঢুকছে তাদের মারধর করছে। এর আগে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে মিটার নিয়ে চুপ গেছে। এভাবে একের পর এক অমানবিক আচরণ ও অত্যাচার করে যাচ্ছে মিয়া মশিউজ্জামান। তার খুঁটির জোর কোথায় নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন? আমরা কার্যালয়ের উদ্দেশ্য রওনা হয়েছি। কোনো অপশক্তির কাছে মাথানত করবো না, ইনশাআল্লাহ।’
নুর বলেন, সরকারের সঙ্গে সমঝোতা না করায় আমাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চলছে। আমরা মাথানত করবো না।
এরপর বিকেল ৬টার দিকে পুলিশ সদস্যদের সামনে দাঁড়িয়ে কার্যালয়ের সামনে লাইভ করেন নুরুল হক নুর। নুর বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ছয় মাসের সময় যেন আমাদের দেওয়া হয়। আপনারা পুলিশ-প্রশাসন এ দখলদারের পক্ষে না থেকে চুক্তি অনুযায়ী আমাদের কার্যালয়ে আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেন। কিন্তু পুলিশ বলছে, এখানে ওপরের নির্দেশ। গণঅধিকার পরিষদ এখানে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা যেন না করতে পারে।
এখানে বাধা দিলে রক্ত ঝরবে, লাশ পড়বে জানিয়ে নুর বলেন, আপনারা এখান থেকে চলে যান আমাদের কার্যালয়ে আমাদের ঢুকতে দিন।
এক ঘণ্টা তিন মিনিটের লাইভে দেখা যায়, পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন নুর ও তার অনুসারীরা। এসময় তারা স্লোগান দেন আমাদের কার্যালয় ফিরিয়ে দাও, দিতে হবে। ভিপি নুরের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে।
১০ মিনিটের বেশি সময় ধরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে নুরের পাঞ্জাবি ও গেঞ্জি ছিঁড়ে যায়। পুলিশকে কার্যালয় থেকে সরে যেতে বলেন নুরের অনুসারীরা। এসময় এক পুলিশ সদস্যকে বলতে শোনা যায়, এখানে মারামারি হচ্ছে না। ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে। ২৯ মিনিট পর নুর ও তার অনুসারীদের নেমে আসতে দেখা যায়।
জানতে চাইলে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ উদ্দিন মিয়া বলেন, অফিস তালাবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও উনারা জোর করে, ভেঙে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। পরে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে কোনো সংঘর্ষ যাতে না হয়, উনাদের সরিয়ে দেই।