শিরোনাম
বিরোধী আন্দোলনে সরকার কম্পমান। এ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে। মন্ত্রীরা এক একজন এক এক সুরে কথা বলেন।
আজ শুক্রবার (১৬ জুন) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোশাররফ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ঘোষণার পর সরকার বেসামাল হয়ে গেছে। সরকারের মন্ত্রীরা একেক সময় একেক কথা বলছে। কারণ জনগণের আন্দোলনে সরকার আজ ভীত। এই সরকারকে বিদায় করাই এখন জনগণের একমাত্র লক্ষ্য। সহসা বিদায় না নিলে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
তিনি বলেন, বুধবার (১৪ জুন) একজন সাংবাদিককে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ করায় হত্যা করা হয়েছে। কেবল গত ১৪ বছরেই ৫৯ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। সাগর-রুনি হত্যার পুলিশি প্রতিবেদন ১০০ বার পিছিয়েছে। এসবের কারণে সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।
তিনি আরো বলেন, এর ফলে সরকারের যারা সিন্ডিকেট রয়েছে, তারা নির্ভয়ে দুর্নীতি করতে পারছে। দেশে দ্রব্যমূল্য আজ লাগামছাড়া। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। জ্বালানির অভাবে লোডশেডিং বেড়েছে। ব্যাংকগুলো আজ দেউলিয়া। আইন করে বিদ্যুতের ওপর ইনডেমনিটি বসিয়েছে। অথচ কমার্শিয়াল সেক্টরের ওপর ইনডেমনিটি বসানোর কোনো নিয়ম নেই। এসবই সীমাহীন দুর্নীতির ফল।
মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার দেশের গণতন্ত্রই হত্যা করেনি, অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। ডলারের সংকটে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেন না। দ্রব্যমূল্য দ্বিগুণ হয়ে গেছে। মানুষ আজ অনাহারে থাকছে। সরকারের এতে কোনো মাথা নেই। তাদের শুধু মাথা ব্যাথা কি করে বিনা ভোটের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় যাওয়া যায়। কিন্তু এবার তাদের উদ্দেশ্য জনগণ সফল হতে দিবে না।
বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে সহ তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ঢাবির সাবেক ডীন বোরহান উদ্দিন খান, সাংবাদিক নেতা এমএ আজিজ, শহীদুল ইসলাম, রাশেদুল হক, তৌহিদ মিন্টু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।