পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ সোমবার (৫ জুন) রাজধানীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও তা স্থগিত করেছে জামায়াতে ইসলামী। প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে দলটি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাত এড়াতে কর্মসূচি পালন করবে না দলটি। ছুটির দিনে কর্মসূচি পালনের জন্য প্রশাসনের কাছে ফের অনুমতি চাইবে তারা।  দলটির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন।

সোমবারের বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে আগামী শনিবার (১০ জুন) রাজধানী বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে বিক্ষোভ সমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। নতুন কর্মসূচি পালনের অনুমতির জন্য প্রশাসনের কাছে ফের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে দলটি। বেলা ১১টার দিকে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির নেতা মু. মতিউর রহমান। তিনি বলেন, এই সমাবেশে বাধা দেয়া মানে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা দেয়া, গণতন্ত্রের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা।

এ বিষয়ে দলটির একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, জামায়াত শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দল। তাই সংঘাত এড়াতে কর্মসূচি পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রশাসন যেহেতু বলেছে কর্মদিবসে নয়, ছুটির দবনে হলে তারা অনুমতি দেবে। তাই আমরা আজকে কর্মসূচি থেকে বিরত থেকে ছুটির দিনে বিক্ষোভের অনুমতি চাইবো। পুলিশ প্রশাসন যদি নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার মেনে চলে তাহলে জামায়াতকে পরবর্তী কর্মসূচি পালনে বাধা দেবে না।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমরা বিশৃঙ্খলা চাই না। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য নিবন্ধন জরুরি নয়। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, মিছিল করার জন্য নিবন্ধন কিংবা অনুমতির প্রয়োজন নেই। এই সমাবেশে বাধা দেয়া মানে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা দেয়া, গণতন্ত্রের পথে বাধা দেয়া।

সংশ্লিষ্ট জামায়াত নেতারা বলেন, পুলিশের হুমকিতে নয়, মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মসূচি পেছানো হচ্ছে। আজকে কর্মসূচি পালনে সব ধরনের প্রস্তুতি জামায়াতের ছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে মু. মতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতি করার জন্য নিবন্ধন জরুরি নয়। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, মিছিল করার জন্য নিবন্ধন কিংবা অনুমতির প্রয়োজন নেই। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার জামায়াতের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বিক্ষোভের অনুমতি চাইতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ের গেটে গেলে তাদের আটক করা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।