শিরোনাম
আওয়ামী লীগ কখনো খালি মাঠে গোল দেয়নি বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা বিবৃতিতে এ দাবি করেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম খালি মাঠে গোল দেওয়ার কথা বলেছেন! বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সাত দশকের বেশি সময় ধরে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও আইন প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। বর্বর পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী থেকে শুরু করে সামরিক স্বৈরাচারদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাকে অক্ষুণ্ন রেখেছে। আওয়ামী লীগ কখনো খালি মাঠে গোল দেয়নি এবং কাউকে খালি মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগও দেয়নি। আমরা সবসময় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, জনগণই ক্ষমতার একমাত্র উৎস। আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্র অথবা পেছনের দরজা দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেনি।
তিনি বলেন, বিএনপি তথাকথিত আন্দোলনের নামে তাদের নেতাকর্মীদের দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তারা দেশের গণতান্ত্রিক সুষ্ঠু পরিবেশ ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে উগ্রবাদী অপশক্তির সন্ত্রাসীদের লালন-পালন এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। বিএনপির এসব সন্ত্রাসীবাহিনী জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করে। অথচ এসব অপরাধীর বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই গণমাধ্যমের সামনে তারা ‘বিরোধী দল দমন’র বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করতে বদ্ধপরিকর। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কেউ জড়িত থাকলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আসতে হবে। এটাই সর্বজনীন নীতি।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের কথা বলেছেন। বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস নয়, বরং জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় রাষ্ট্রকাঠামো শক্তিশালী এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠন আইন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনসহ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে যদি প্রশ্ন করি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকাশে বিএনপি কি কখনো কোনো ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল?
বিএনপি ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে প্রহসনের হ্যাঁ/না ভোটের আয়োজন করেছিল মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছলচাতুরী ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির প্রহসনমূলক ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০০৬ সালে তাদের রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা’র অপমৃত্যু ঘটানো, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টিসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করেনি। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আবারও জনগণের বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় এগিয়ে যাবো। ইনশাল্লাহ।