শিরোনাম
ঐতিহ্যগতভাবেই বিএনপি একটি খুনির দল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির খুনি চরিত্র বারবার উন্মোচিত হয়েছে।
সোমবার (২২ মে) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অর্বাচীন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই তিনি এ বিবৃতি দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকাশ্য জনসভায় সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির মধ্যদিয়ে বিএনপির হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির নীলনকশা আবারও দেশের মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবেই বিএনপি একটি খুনির দল। তাদের খুনি চরিত্র বারবার উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় থেকে তারা বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করতে ২১ আগস্টের মতো নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, বিরোধীদলে থেকেও তারা খুনের রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে। তারা বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২১ বার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, হত্যা, ক্যু, সন্ত্রাস, যুদ্ধাপরাধী এবং জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক ও লালন-পালনকারী বিএনপিকে দেশের জনগণ আর রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না। বাংলাদেশের জনগণ অচিরেই গণবিচ্ছিন্ন বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে নির্বাসনে পাঠাবে।
তিনি বলেন, বন্দুকের নলের মুখে অসাংবিধানিক পন্থায় অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলকারী সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায় বলেই তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভুল করার এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রায় দেড় কোটি ভুয়া ভোটারের তথাকথিত ভোট ব্যাংক নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের পথে ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের নৈতিক শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। সেই সঙ্গে ভুল রাজনীতির কারণে জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় বিএনপি এখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেও ভয় পায়।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ উদার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে। দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সুসংহত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রায় অর্ধ-শতাধিক বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন, সংবাদপত্র ও অনলাইন নিউজপোর্টালের লাইসেন্সপ্রাপ্তি সহজীকরণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশের মুক্ত-বাতায়ন উন্মোচনসহ বহুমাত্রিক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করে চলেছে সরকার।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের অবারিত স্বাধীনতার সুযোগে বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশন টকশো এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বিষোদগার করে চলেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রয়াসে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সংবিধান অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের রাজনীতিতে এবং জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিএনপির কোনো অবদান নেই, তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পায়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আজ নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলেও দেশের জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং দেশের জনগণ আবারও বিপুল ভোটে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে জনগণের সেবা ও দেশ পরিচালনার সুযোগ প্রদান করবে।