শিরোনাম
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতীক পেয়ে মঙ্গলবার থেকেই প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। মেয়র এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নগরজুড়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। নগরীর বিভিন্ন অলিগলি রাস্তাঘাট ও দোকানপাটে এখন কেবল সিটি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা।
বুধবার (১০ মে) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমত উল্লা খান সদর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন। নগরজুড়ে রয়েছে তার হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে এবং থানায় রয়েছে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি। এক্ষেত্রে প্রচার-প্রচারণায় তিনি পাচ্ছেন বাড়তি সুবিধা।
অপরদিকে, আলোচিত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা খাতুন কোনাবাড়ি ও কাশিমপুর এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনি এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি তার মা জায়েদা খাতুনের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট। তিনি মায়ের পাশে থেকে মায়ের জন্য নির্বাচনী সব দায়িত্ব পালন করবেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন সকালে টঙ্গী এলাকায় এবং বিকেলে কাশিমপুর এলাকায় জনসংযোগ করেন। তিনি সরকারের সচিব থাকার সময় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। এজন্য এলাকাবাসী তাকে চেনেন। বিভিন্ন স্থানে প্রচারণায় তিনি বেশ সাড়া পাচ্ছেন বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান বুধবার বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর গাছা এলাকায় গণসংযোগ করেন। এসময় তার সঙ্গে নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সমর্থকরা জানান, একজন ইসলামী মনা রাজনীতিবিদ হওয়ায় এবং ভালো বক্তা হিসেবে তার খ্যাতি রয়েছে। তিনিও স্থানীয়দের বেশ সমর্থন পাচ্ছেন।
হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সরকার শাহনুর ইসলাম রনি সকালে নগরীর কাশিমপুর ও বিকেলে টঙ্গী এলাকায় গণসংযোগ করেন। তার সঙ্গে তার কর্মী সমর্থকরা ছিলেন।
এদিকে, মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের নিজ নিজ ওয়ার্ডে গণসংযোগ করছেন। তারা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। এসব প্রার্থীদের পক্ষে তাদের আত্মীয়-স্বজনরাও প্রচারণায় যোগ দিচ্ছেন। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় পুরো সিটি করপোরেশনে শুরু হয়েছে ভোটের আমেজ।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৮ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোটকক্ষ থাকবে।
মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬, তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন। এ নির্বাচনে ৪৮০ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৩ হাজার ৪৯৭ সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং ৬ হাজার ৯৯৪ জন পোলিং কর্মকর্তাসহ ১০ হাজার ৯৭১ ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা থাকবেন।