কোন ঈদের পর বিএনপির আন্দোলন, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

ফানাম নিউজ
  ২২ এপ্রিল ২০২৩, ০১:২৮

বিএনপি কোন ঈদের পর আন্দোলন করবে তা জানতে চেয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

ইউরোপ সফর শেষে ফিরে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এসময় মন্ত্রী সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান ও নিরাপদ ঈদযাত্রা কামনা করেন।

ঈদের পর বিএনপি মহাসচিবের আন্দোলনের ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ঈদের পরে, শীতের পরে, গ্রীষ্মের পরে, স্কুল ছুটির পরে, কোরবানির পরে, বর্ষার পরে- এসব কথা ১৪ বছর ধরে শুনে আসছি। মির্জা ফখরুলের এসব কথা মানুষ হাস্যকর বক্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর তিনি ঈদের পরে বলেছেন, কিন্তু কোন ঈদের পরে সেটি বলেননি। আমার প্রশ্ন- কোন ঈদের পরের কথা তারা বলছেন?

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করার কথা বললেও তাদের নেতারা যে এতে অংশ নিতে চান, সেটি স্পষ্ট। অন্য নির্বাচনেও তাদের নেতারা স্বতন্ত্রভাবে অংশ নিয়েছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্যও নেতারা ছোটাছুটি করছেন, তাদের অন্দরমহলে নানা আলোচনা হচ্ছে। নির্বাচনে আসলে আমরা বিএনপিকে স্বাগত জানাই। আমার ধারণা তাদের অনেকেই মুখোশ লাগিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন। আমরা চাই, তারা মুখোশ ছাড়াই অংশ নিক।

‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশ না নেয়, তাদের নেতাদের অংশগ্রহণ তারা ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচন আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন এবং আনন্দমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেবে, সব পর্যবেক্ষক নির্বাচন দেখবেন। আমরা আশা করি, বিএনপি অংশ নেবে। কারণ নির্বাচন থেকে এভাবে পালিয়ে যেতে যেতে একসময় বিএনপি দলটাই পালিয়ে যাবে, তখন আর তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ যোগ করেন হাছান মাহমুদ।

সদ্যসমাপ্ত ইউরোপ সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম সেরা আর্কাইভ ব্রিটিশ পাথে এবং ডাচ সংস্থা রেডঅরেঞ্জের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের অডিও-ভিজ্যুয়াল ফুটেজ সংগ্রহের বিষয়ে দুটি চুক্তি হয়েছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আর্কাইভের সমন্বয়কারী ব্রাসেলসভিত্তিক সংস্থা, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এবং অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকেও ফুটেজ সংগ্রহের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করবে ও বিকৃতি থেকে রক্ষা করবে।

ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজ থেকে র্যাবকে নিয়ে ডয়েচেভেলের একটি সংবাদ শেয়ারের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর অবগত নয় এবং তারা ঢাকাস্থ দূতাবাসকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছে- এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখানকার মার্কিন দূতাবাস যে বিভিন্ন ধরনের ছোটোছুটি করে, নানাজনের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করে, যেগুলো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সেগুলোর সঙ্গে যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্রব নেই, সেটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বক্তব্যেই পরিষ্কার।

মন্ত্রী বলেন, দূতাবাসের কোনো ব্যক্তিবিশেষ এটি শেয়ার করেছেন এবং বিরোধীদল এতে প্ররোচনা দিয়েছে। আমাদের বিরোধীদলের লোকজন রাত-বিরাতে দূতাবাসে গিয়ে তাদের হাত-পা ধরে তাদের যে প্ররোচিত করে, যেটা আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, এ ঘটনায় সেটিই স্পষ্ট হয়েছে।