শিরোনাম
ঈদের আগে নয়, ঈদের পর অর্থাৎ মে মাসের যেকোনো দিন ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার দুপুরে দলটির ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক যৌথসভায় উপস্থিত ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদের সঙ্গে ভিডিও কলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা নিজে থেকেই কমিটি গঠনের বিষয়টি তুললে প্রধানমন্ত্রী তাদের এই পরামর্শ দেন।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকমন্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর-দক্ষিণ ও দলের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের সঙ্গে যৌথসভা ধানমন্ডি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে। এ নিয়ে দলীয় সভাপতির সঙ্গে কথা বলারও অনুরোধ করেন শীর্ষ দুই নেতা। পরে ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীকে টেলিফোন করে ছাত্রলীগের কমিটির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চান। প্রধানমন্ত্রী একপর্যায়ে ভিডিও কলে এসে উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেন। তারা প্রধানমন্ত্রীকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার বিষয়ে নিজেদের প্রস্তুতি অবগত করেন। ভিডিও কলে ওবায়দুল কাদেরও প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপা, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ওদের প্রস্তুতি আছে, আপনার অনুমতির জন্য তারা অপেক্ষা করছে। তবে ঈদের আগে কমিটি ঘোষণা করলে অনেকের হয়তো মন ভেঙে যেতে পারে। কাজেই আপনার অনুমতি পেলে ঈদের পরেই কমিটি গঠন করাটা ভালো হবে।’ জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তাহলে ঈদের পরেই কমিটি ঘোষণা করা হোক।
এসময় ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতাকে কিছু পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান জানান, ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিষয়ে আমরা আমাদের অগ্রগতির কথা জানিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশনাও চেয়েছি। ছাত্রলীগের সর্বচ্চো অভিভাবক আমাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। ঈদের পরেই অর্থাৎ মে মাসের যেকোনো দিনেই আমরা আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করব।
শীর্ষ এই দুই নেতা আরো জানিয়েছেন, ঈদুল ফিতর উদযাপনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেন নিরাপদে বাড়িতে যেতে পারে সেজন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে আমাদের নেতাকর্মীরা যারা মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে যাবেন ঈদ উদযাপন করতে। তারা যেন অবশ্যই হেলমেট ব্যবহার করে। হেলমেট ছাড়া গাড়ি না চালানোর বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। সারাদেশে আমরাও আমাদের নেতাকর্মীদের হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল না চালানোর নির্দেশনা দিয়েছি। তাছাড়া আর কয়েকদিন পরেই বোরো মৌসুম। কৃষকের ধানকাটা উৎসব শুরু হবে। অতীতের ন্যায় এবারো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকের ধান কেটে তাদের ঘরে তুলে দেবে। আমরা ইতোমধ্যে সেই বার্তাও আমাদের নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। যার যতটুকু অনাবাদী জমি আছে, সেগুলোতে চাষাবাদ করার জন্য মানুষকে কীভাবে উৎসাহিত করা যায়, সে ব্যাপারেও আমাদের নেত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সারাদেশে সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করব।