শিরোনাম
ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড কোনো দুর্ঘটনা হতে পারে না বলে জানিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। আজকেও নিউমার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘন ঘন এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্রের হাত আছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি। বিএনপি-জামায়াত অগ্নিকাণ্ডে পারদর্শী, তাদের এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা রয়েছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে হবে।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) ধোলাইপাড় উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, সংখ্যালঘুদের ওপর পাকিস্তানি কায়দায় হত্যা-নির্যাতন চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। সাংবাদিক ভাইদের হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করেছে। ২০১৩-১৪ সালে ওরা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। হাজার হাজার যানবাহন পুড়িয়েছে, শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
যুবলীগ চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হলে আমাদের মেহনতি মানুষ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একই সঙ্গে সব প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত লোকজনকে উদ্দেশ করে শেখ পরশ বলেন, আপনাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য আজ শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তারা যাতে চতুর্থ বিপ্লব মোকাবিলায় পারদর্শী হতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। আজকে শেখ হাসিনা আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন কিছু খাদ্য উপহার দিয়ে। এই উপহারগুলো আপনাদের অধিকার। এগুলোকে অনুদান মনে করবেন না। সরকার সর্বদা সচেষ্ট আছে আপনাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার জন্য।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, আজকে বিশ্বমন্দা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের ঊর্ধ্বগতিতে আপনাদের যে কষ্ট হচ্ছে সেটা আমরা অনুভব করতে পারি। কিন্তু আপনারা দুশ্চিন্তা করবেন না। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ আপনাদের পাশে আছে এবং চিরদিন থাকবে। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের নেত্রী এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই দেশের মানুষের রক্তের সম্পর্ক।
তিনি আরও বলেন, আর মাত্র ৯ মাস পর আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আমার বিশ্বাস আপনারা নিশ্চয়ই তাদেরকেই ভোট দিবেন, যারা আপনাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করেছে। আপনারা নিশ্চয়ই তাদেরকেই ভোট দেবেন, যাদের দ্বারা গঠনতন্ত্র, অর্থাৎ আপনাদের অধিকার নিশ্চিত হবে, শোষণমুক্ত সমাজব্যবস্থা হবে এবং সবার জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
নৌকাকে ভোট দিলে জীবনমানের ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত থাকবে বলে জানান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেন, একটু পেছনের দিকে তাকান, দেখতে পাবেন বিএনপির সময় কি অবস্থা ছিল। আপনাদের আয় কত ছিল? রাস্তা-ঘাটের অবস্থা কি ছিল? শিক্ষার সুযোগ কি ছিল? চিকিৎসা ব্যবস্থা কি ছিল? আপনাদের বাসস্থানের চিন্তা কে করে যাচ্ছেন? শেখ হাসিনা; তার যুগান্তকারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার এদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল ৫ বার। আর আমাদের সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন করেছে, শক্তিশালী করেছে। আজকে একটা মেসেজ ক্লিয়ার দুর্নীতিবাজ যেই হোক, কারোর রক্ষা নাই। আজকে দলীয় নেতাকর্মী বলেন আর প্রশাসনিক আমলা বলেন দুর্নীতি করলে শাস্তি পেতেই হবে। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করে দিয়েছে, তাই এমপি-মন্ত্রী বলেন আর প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, সাজা হচ্ছে।
বিএনপি-জামায়াত এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছিল, আর শেখ হাসিনা সরকার দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করে দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ধারাবাহিকভাবে ২০০৮ সালের পর থেকে দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলেই একটা স্থিতিশীল রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে। কিছু প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা থাক স্বত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজার পরিচালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হারিছ মিয়া শেখ সাগর, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা।