শিরোনাম
আওয়ামী লীগ উসকানিমূলক কার্মকাণ্ড করে বিএনপিকেও অন্য ধরনের কার্যক্রমে জড়াতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ভীতু আখ্যা দিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তারা কাওয়ার্ড (কাপুরুষ) সরকার। এ জন্যই তারা জনগণকে ভয় পায়। তারা জনগণকে দাঁড়াতে দেয় না। কথা বলতে দেয় না। আজকে দেশকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে এ সরকার।’
তিনি বলেন, আজকে (শনিবার) বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ১০ দফা দাবিতে সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি ছিল। কিন্তু অধিকাংশ জায়গায় কর্মসূচি করতে দেয়নি। এরই মধ্যেই ঢাকায় ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। যশোরের শার্শায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। নেত্রকোনায় হামলা করেছে। এভাবে দেশের অন্যান্য জায়গায়ও হামলা করেছে।
তিনি প্রকৌশলী ও পেশাজীবীদের উদ্দেশে বলেন, আর বসে থাকার সুযোগ নেই। আমাদের ১৭ জনকে তারা খুন করেছে। হাজার হাজার লোককে গ্রেফতার করেছে। আজকে কেউ ভালো নেই। জেগে উঠতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার ভাষণে বলেছেন গণতন্ত্রহীন উন্নয়ন কখনো সার্বজনীন হতে পারে না। অথচ এ কথা আমরা বহুকাল ধরে বলে আসছি। তার দল আওয়ামী লীগই তো এ গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশ ফোকলা করে দিয়েছে। আসুন আমরা একটি মুক্ত ও সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ি।
অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। অ্যাবের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাবের মহাসচিব আলমগীর হাছিন আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বকুল, সহ-সভাপতি মো. মোস্তাফা-ই-জামান সেলিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক।