শিরোনাম
বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপিই আগুন নিয়ে খেলা করে। ২০১৩-১৪ সালে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছেন মির্জা ফখরুল সাহেবরাই। দেশ ও মানুষের সম্পত্তিও তারাই পুড়িয়েছেন।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফকিরাপুলের সন্দ্বীপ ভবনে চট্টগ্রাম জার্নালিস্ট ফোরাম ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সকালে বলেছেন তদন্ত হলে নাকি বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে সরকারের কারা কারা যুক্ত তা বেরিয়ে আসতে পারে। এ রকম একটি দায়িত্বহীন, কাণ্ডজ্ঞানহীন কথা বিএনপির মতো দলের মহাসচিবের কাছে আশা করা যায় না।
তিনি বলেন, বঙ্গবাজারে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী এটি সার্বক্ষণিক মনিটর করেছেন। এরই মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে এ ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও নিরাপদ স্থায়ী কাঠামোর বিষয়ে যথাযথ নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের দলের সদস্যরা বিপদাপন্নদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণ এবং আগুন লাগার পেছনে নাশকতা আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব যেহেতু এ কথা বলেছেন, সেহেতু উনাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাহলে তথ্য বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে সহায়তা হবে। তবে আমি অনুরোধ জানাবো, একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ হয়ে এ ধরনের কথা না বলার জন্য।
সমাজ ও রাষ্ট্রের বিকাশে সাংবাদিকতার ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিহিত করে তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামসহ সারাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভালো কাজকে উৎসাহ দিতে সরকারের সাফল্য তুলে ধরা প্রয়োজন। পাশাপাশি ভুল আড়াল করে নয়, গঠনমূলক সমালোচনা করলেই সংশোধনের সুযোগ থাকে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিজেএফডি সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন, মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি এবং সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।
এ সময় সিজেএফডির সাবেক সভাপতি শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফ ইসলাম দিলাল, মেজবাহ উদ্দিন জংগি চৌধুরী, মোস্তফা কামাল, যমুনা টেলিভিশনের সিইও ফাহিম আহমেদ প্রমুখ সাংবাদিকতা, সমসাময়িক বিষয় ও চট্টগ্রাম নিয়ে বক্তব্য দেন।