শিরোনাম
বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য’ বিএনপি সংগ্রাম চালিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (২৬ মার্চ) দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ থেকে ৫১ বছর আগে আমাদের জাতীয়তাবাদী দলের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। দীর্ঘ নয় মাস রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। আমরা যখন জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মাধ্যেম স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম তখন আমাদের স্বপ্ন ছিল, আশা আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের। কিন্তু দুর্ভাগ্য, আজকে আমাদের গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে, সংগ্রাম করতে হচ্ছে, লড়াই করতে হচ্ছে। আমাদের কথা বলার অধিকার, ভোটের অধিকার আজকে হারিয়ে গেছে, সাংবাদিকদের সত্য কথা লেখার অধিকার হারিয়ে গেছে। দেশে প্রকৃতপক্ষে একটি কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এদেশের গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য, পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করছি দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে। আজকে বাংলাদেশের কী দুর্ভাগ্য, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী, যিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, তাকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের জন্য কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। আমাদের ৩৫ লক্ষের বেশি নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, এই মহান দিনে স্বাধীনতার শুভলগ্নে শপথ গ্রহণ করছি- বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য, ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, মানুষের দুঃখ-কষ্ট, চাল-তেল-ডালের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাকে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য এবং সত্যিকার অর্থে দেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করবার জন্য আমরা যে সংগ্রাম শুরু করেছি সে সংগ্রাম আমরা চালিয়ে যাব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা।