শিরোনাম
দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপিকে সংলাপে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিকভাবে হলেও বিএনপির সঙ্গে আলোচনা বা মতবিনিময় হতে পারে বলে মনে করে ইসি।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তাদের দলের অন্য নেতৃবৃন্দসহ, প্রয়োজনে সমমনা দলগুলোর নেতৃবৃন্দসহ আলোচনা ও মতবিনিময়ের জন্য নির্বাচন কমিশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ডিও পত্রের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশন তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
চিঠিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার লেখেন, ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচন করে আসছি। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংসদ নির্বাচনের কথা অনুধাবন করে আসছে।
বর্তমান কমিশন ও আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থানের কথা তুলে ধরে চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বর্তমান কমিশনের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। আপনারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও আপনাদের এমন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও কৌশলের বিষয়ে কমিশনের কোনো মন্তব্য নেই।
চিঠিতে সিইসি বলেন, আপনাদের কাছে প্রত্যাখ্যাত হলেও কমিশন মনে করে বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আনুষ্ঠানিক না হোক, অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা বা মতবিনিময় হতে পারে। আপনাদের নির্বাচন কমিশনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সদয় সম্মত হলে দিনক্ষণ আলোচনা করে নির্ধারণ করা যেতে পারে। প্রত্যুত্তর প্রত্যাশা করছি।
দায়িত্ব নেওয়ার পর আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশনের এ সংলাপ গত বছরের ১৭ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত চলে। কিন্তু বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো এতে অংশ নেয়নি। ৯টি দল সংলাপে অংশ নেয়নি।
এছাড়া ১৩ মার্চ দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী, ২২ মার্চ নাগরিক সমাজ, ৬ এপ্রিল প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিক, ১৮ এপ্রিল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী/প্রধান বার্তা সম্পাদক/সিনিয়র সাংবাদিক, ৯ জুন নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধি এবং ১২ জুন নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় করে কমিশন।