শিরোনাম
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘হিরো আলমকে নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য ছিলো না। আমার মন্তব্য ছিলো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে। আমি হিরো আলমকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সামনে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দিন আহমদের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে জানাজায় আরো অংশগ্রহণ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সস্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, নৌপরিবহন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম প্রমুখ।
এর আগে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের উপ-নির্বাচনে লড়াই করেন হিরো আলম। তবে তিনি মহাজোটের প্রার্থী একেএম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কামরাঙ্গীরচরে এক সমাবেশে বগুড়ার নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে। হায়রে মায়া! হিরো আলমের জন্য এত দরদ উঠলো ফখরুলের? ফখরুল ভেবেছিলেন হিরো আলম জিতে যাবে। হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। তারা তো নির্বাচন চান নাই। হিরো আলমকে বিএনপি দাঁড় করিয়েছে। জাতীয় সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে বিএনপি। অবশেষে ফখরুলের স্বপ্নভঙ্গ।
পরে রাতেই ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, তিনি (কাদের) কথায় কথায় বলেন-আসুন খেলা হবে। আমি ওবায়দুল কাদের স্যারকে জোর গলায় বলতে চাই, খেলা সবার সঙ্গে করতে হবে না। আমি হিরো আলমের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং আপনি দলীয়ভাবে দাঁড়ান। এরপর আপনি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখেন খেলা হয় কি না। ভোটারদের ভয় না দেখিয়ে সুষ্ঠু ভোট দিয়ে দেখেন।