শিরোনাম
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর নজিরবিহীন ভয়াবহ অত্যাচার-নির্যাতন নেমে এসেছিলো। আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের যেসব নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামায়াতের সেই ভয়াবহ অত্যাচার-নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলো তাদের মধ্যে একজন তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক কার্যকরী সদস্য ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বিএম জাহিদ হাসান।
বর্তমানে তুরাগের এই নেতা তৎকালীন সময়ে (বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। প্রধান প্রতিপক্ষ ছিলো জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির। শিবিরের অসহনীয় নির্যাতন সহ্য করেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ ও লালন করে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন।
জাতির পিতার জন্মস্থান গোপালগঞ্জে জন্ম নেয়া বিএম জাহিদ হাসান ১/১১ সরকারের আমলে জীবন বাজি রেখে রাজপথে লড়েছেন। জেলে বসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিক্ষা দিলেও কোনো আপোষ করেনি স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সঙ্গে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন।
২০০৮ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবির দ্বারা তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন মুন-এর উপর শিবির হামলা করলে প্রতিরোধ হামলায় শিবিরের সাধারণ সম্পাদক নোমানী নিহত হয়। ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে সেই মামলাতে কারাভোগ করেছেন বর্তমান তুরাগের এই নেতা।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ ও দক্ষিণের সম্মেলন বেশ আগেই শেষ হয়েছে। উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনো সময় কমিটি ঘোষণা করা হবে। এবারের কমিটিতে হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীদের ছেঁটে ফেলে ত্যাগী, জনপ্রিয় ও সাবেক ছাত্র নেতাদের অগ্রাধিকার দিয়ে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের হাইকমান্ড।
তুরাগের ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের তরুণ নেতাকর্মীরা মনে করছেন দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনা মেনে কমিটি গঠন করা হলে তুরাগ থানা আওয়ামী লীগে বিএম জাহিদ হাসানকে তার প্রত্যাশিত সাধারণ সম্পাদক পদ দিয়ে রাজপথে বিএনপি-জামায়াতকে কঠিন জবাব দেয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তিকেই বেঁছে নেয়া হবে। এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, জাহিদ হাসান আওয়ামী লীগের পিরিক্ষিত নেতা। তিনি ছাত্র লীগ থেকে উঠে এসেছেন। শিবিরের সাথে যুদ্ধ করে ছাত্রলীগ করা মানুষ জাহিদ ভাই। এমন ছাত্রনেতা ঘরে ঘরে পাওয়া যায় না।
স্থানীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জসিম উদ্দীন বলেন, বিএম জাহিদ হাসান একজন স্বচ্ছ এবং ত্যাগী নেতা। তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণের কাছে সমানভাবে তুমুল জনপ্রিয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ ও লালন করা এবং আমাদের দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন বিএম জাহিদ হাসান ভাইকে তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দেখতে চাই। জাহিদ ভাইকে এই পদ দেয়া হলে আমাদের সবার তথা তুরাগবাসীর মনের আশা পূরণ হবে। এছাড়াও তুরাগ থানার সাধারণ মানুষ মনে করেন, বিএম জাহিদ হাসান তুরাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পারলে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত সমাজ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।