সরকার পতন আন্দোলনের সূচনা গণমিছিল: খন্দকার মোশাররফ

ফানাম নিউজ
  ২৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:০৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষের রায় হচ্ছে এ সরকার আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই ১০ দফা আমাদের যে দাবি তা পূরণ করতে হবে। তিনি বলেন, তাদের ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের গঠনে বাধ্য করতে হবে। এ বাধ্য করার আন্দোলনের সূচনা হচ্ছে গণমিছিল।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ সংলগ্ন ওয়াসা মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির গণমিছিলের পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুর ১টা থেকে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে যোগ দেন। গণমিছিলটি ওয়াসা মোড় থেকে শুরু হয়ে আলমাস, কাজীর দেউরী, নুর আহমেদ সড়ক, লাভলেন, জুবলী রোড় হয়ে তিন পুলের মাথায় গিয়ে শেষ হয়।

ড. মোশারফ বলেন, ‘এ সরকার জনগণের সরকার নয়, জনগণের ভোট দিয়ে নির্বাচিত নয়। তাই তাদের দেশের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সে জন্য আজ বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, বিচার ব্যবস্থা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘কিছু দিনের মধ্যে একটা হুইসেল দেবো। সে হুইসেল মানে সরকার পতনের হুইসেল। তখন লাখ লাখ জনতার রাজপথ দখল করতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে সরকারে আছে। এ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার তারা ছিনতাই করেছে।’

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আজকের গণমিছিল প্রমাণ করেছে জনগণ এ সরকার আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমরা মানুষের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে আছি, আগামীতেও থাকবো।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপাসেনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবের রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর হেলাল উদ্দীন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া।

উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, বিএনপি নেতা এম এ হালিম, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, এরশাদ উল্লাহ, এনামুল হক এনাম, নুরুল আমিন, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, সরওয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, এড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, মোস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল মোস্তফা আমিন, এস এম মামুন মিয়া, মুজিবুর রহমান, জামাল হোসেন সহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।