শিরোনাম
আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল ঐতিহাসিক নান্দনিক ও চমকপ্রদ হবে বলে মনে করছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওসার। ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিল সম্পর্কে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মূল্যায়ন করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার স্থাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই উপমহাদেশের প্রচীনতম ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। একমাত্র আওয়ামী লীগ বাংলার মাটি ও সর্বস্তরের মানুষের অনুভূতি দিয়ে গড়ে রাজনৈতিক সংগঠন।
একই সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে নান্দনিক রাজনীতির রূপকার। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে ঐতিহ্য এবং নান্দনিকতার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায়। ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ধরে রাখা, লালন করা এটাও আওয়ামী লীগের একটা ঐতিহ্য।
আবু কাওসার বলেন, স্বাধীনতার রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের পরতে পরতে নিরেট দেশপ্রেম এবং মাটি ও মানুষের কথা বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেম ও আদর্শ ধারণ এবং লালন করেই পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, চার দশকের বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সফলভাবে একটানা আওয়ামী লীগের নতৃত্ব দিয়ে আসছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সব হারিয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে খন্ডিত আওয়ামী লীগকে একত্রিত করে নতুর রূপে গড়ে তুলেছেন শেখ হাসিনা। আজকে আমরা যে আওয়ামী লীগ দেখছি এই আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার ঐকান্তিক পরিশ্রমের আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রাজনীতির পথ সহজ ছিলো না। খুনি, বিশ্বাসঘাতক, ষড়যন্ত্রকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের মোকাবেলা করে পরিবার হারানোর শোক নিয়ে বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বাংলার মাটিতে রাজনীতি করতে হয়েছে। কঠিন পথে হেটে হেটে শেখ হাসিনা এমনই এক রাজনীতিকে পরিণত হয়েছে যে আগামী একশ বছরেও বাংলাদেশে আর এমন একজন রাজনীতিক জন্ম দেবে না। শেখ হাসিনা আজ শুধু বাংলাদেশের নেতা নয়, বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকজন বিশ্বনেতার একজন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের চারবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। আপামর জনগণের স্বপ্ন এবং শক্তি।
এক প্রশ্নের এই নেতা আরো বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর তরুণ এবং প্রবীণের সংমিশ্রণে হয়ে থাকে। এবারের ২২তম কাউন্সিলেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে মনে করি। প্রবীণ নেতারা তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা দিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করে আর তরুণ নেতারা সেই নেতৃত্ব বাস্তবায়ন করে এটাই আওয়ামী লীগ। এছাড়াও সরকার এবং দলকে আলাদা রাখার একটা দৃশ্যমান চেষ্টা থাকে সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে মনে হয়।
নারী নেতৃত্বের প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৩০ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমশিনের বেধে দেওয়া বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু কোনো দলই তা এখনো পূরণ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ প্রায় কাছাকাছি আছে। আর একটু হলেই পূরণ করতে পারবে। আওয়ামী লীগের সহযোগী একাধিক নারী সংগঠন আছে। সেখানে যোগ্য নেতৃত্বের কোনো অভাব নেই। সেসব সংগঠন থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারীদের যুক্ত করে নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব। আশাকরা যায়, এবারের কাউন্সিলের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগে নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধি পাবে।