শিরোনাম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গত দুই সপ্তাহে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশেষ অভিযানের নামে পুলিশি অভিযানে বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও আব্দুস সালামসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
‘রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস করেছে বিএনপি’ আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি ধ্বংস করছে, আওয়ামী লীগ কী রাষ্ট্র মেরামত করছে?’ গত ১৪ বছর গায়ের জোরে ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। গণতন্ত্র, অর্থনীতি, বিচারব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সমাজসহ সব কাঠামো একটা একটা করে ধ্বংস করেছে তারা। এগুলো বিএনপি কীভাবে ধ্বংস করলো, কখন করলো, কোনোটা করলো? সেটা আওয়ামী লীগ দেখাক। এদের (আওয়ামী লীগ) স্বভাবই হলো, উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা।
তিনি বলেন, শুধু ৭ ডিসেম্বরই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সাড়ে ৪০০ বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও তারা কারাগারে। গত ১৫ দিনে এ সরকার বিশেষ অভিযানের নামে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, একটি স্বাধীন দেশে রাজনীতিকদের রাজনীতি করার স্বাধীনতা নেই। বাংলাদেশ এ অবস্থায় এসে পৌঁছাবে সেটা মুক্তিযোদ্ধারা কোনোদিন আশা করেননি।
তিনি বলেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই, অর্থনীতি খাদের কিনারে। শুধু গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার আজ ব্যাংক লুট, রিজার্ভ লুট ও টাকা পাচার করছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষের শেষ ভরসার স্থল বিচার বিভাগকেও দলীয়করণ করে ধ্বংস করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের মানবাধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ কথা শুধু আমরা (বিএনপি) বলি না, এটা দেশের সব পেশার মানুষ জানে। এমনকি বর্হিবিশ্বও এ ব্যাপারে সোচ্ছার। তাইতো র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
সরকার জনগণকে ভয় পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, নিজেদের অপকর্মের জন্য তারা ভয়ে আছে। তা না হলে একটি গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে এত কাণ্ড-কারখানা কেন করতে হবে?
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজুল হকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আইনজীবী ফজলুর রহমান প্রমুখ।