শিরোনাম
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে বলে ফের ঘোষণা দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অতীতে নয়াপল্টনে বিএনপি ও ২০ দলের সমাবেশ হয়েছে। যেসব সমাবেশে খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করেছেন। অতীতের কোনো সমাবেশেই বিশৃঙ্খলা হয়নি। ১০ ডিসেম্বরও বিএনপি নয়াপল্টনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চায়। তাই সরকারের কাছে সার্বিকভাবে বিএনপিকে সমাবেশের ব্যবস্থা করে দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, গায়েবি মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সরকার ভীত হয়ে সমাবেশ বন্ধ করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব জানান, গত ৭ দিনে ১৬৯টি মামলা দিয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৬ হাজার ৭২৩ জনকে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আবারও গত নির্বাচনের আগের মতো শুরু করেছে সরকার। এভাবে স্তব্ধ করা যাবে না, মানুষ জেগে উঠেছে। সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পারছে না, তাই একটার পর একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এক মাস আগেই নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছি। এটা বিভাগীয় সমাবেশ, মহাসমাবেশ নয়। সেদিন (১০ ডিসেম্বর) শনিবার, তাই যানবাহনের সমস্যাও নেই। এখন নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।
ব্যাংকগুলো লুটপাট করে শেষ করে দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সবক্ষেত্রে তারা অনাচার করে দেশ শেষ করে দিচ্ছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ সফল করা একটা চ্যালেঞ্জ, সেই চ্যালেঞ্জে বিজয়ী হতে হবে।
সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, দয়া করে সংঘাতের পথে যাবেন না। সাজিয়ে আর মামলা দেবেন না।
তিনি বলেন, দেশে আজ চরম অরাজকতা বিরাজ করছে। বিশেষ করে সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায়? দেশের টাকা বাইরে পাচার হয়ে গেছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সরকার গুম, খুন আর নির্যাতন চালিয়ে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ আর মেনে নেবে না। মানুষ এখন জেগে উঠেছে। বিএনপির এই আন্দোলন এখন আর শুধু দলীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ নেই। এটি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। আগামীতে সর্বাত্মক আন্দোলন করে এই সরকারকে বিদায় করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। ঢাকার সমাবেশ বানচালের জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। জনস্রোতে সরকারের পতন হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।