শিরোনাম
বিএনপি বেইমানের দল, বিশ্বাসঘাতকের দল। ক্ষমতায় থাকাকালে তারা বিদ্যুৎ, রিজার্ভ, গণতন্ত্র খেয়ে ফেলেছিল। ভোট চুরি করেছিল। হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। বিএনপি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। স্বাধীনতার আদর্শকে পদদলিত করেছে। তারা আরেকবার ক্ষমতায় গেলে গোটা দেশ গিলে খাবে। বাংলাদেশকে আর খুনি-সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য বানাতে দেওয়া হবে না।
যশোর-খুলনাসহ সারা দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আজকের এই বিশাল জনসভা প্রমাণ করে বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। তারা আগামীতেও আওয়ামী লীগকে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে।
বৃহস্পতিবার যশোরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় আওয়ামী লীগ নেতারা এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যশোর ও খুলনার মানুষ প্রস্তুত হন, বিএনপির সঙ্গে ডিসেম্বরে খেলা হবে। খেলা হবে তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল এখন বড় বড় কথা বলছেন। গণতন্ত্র হত্যাকারী। তাদের মুখে গণতন্ত্রের বুলি শোভা পায় না। তিনি কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলেন? বিএনপি কোন মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে? আইনের শাসনের কথা বলে? বিএনপি কোন মুখে নির্যাতনের কথা বলে?
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বেইমানের দল, বিশ্বাসঘাতকের দল। তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরে বড় বড় লোকরা বাড়ির সামনে কুকুর রাখেন। লেখা থাকে সেই কুকুর থেকে সাবধান। আমরা বলি বিএনপি থেকে সাবধান।
বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, আজকের এই বিশাল জনসভা প্রমাণ করে বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। আপনারা এসে এই জনসভাকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন। এখনো লাখ লাখ মানুষ এই মাঠের বাইরে অপেক্ষা করছেন।
তারা আজ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে চান। ২৭ মাস পর আজ জননেত্রীর জনসভা হচ্ছে। আবার আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হেলাল বলেন, বাংলার মানুষ, বিশেষ করে বৃহত্তর যশোরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপনারা নেত্রীর সঙ্গে ছিলেন দুর্দিনে। আগামী নির্বাচনেও আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও জয়ী করবেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে সরকার গঠন করেছিল। তারা জঙ্গিদের নিয়ে দেশে সন্ত্রাস-সহিংসতা করে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। আমরা সেগুলো মোকাবিলা করে দেশকে আজ এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। ইনশাআল্লাহ উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। বাড়াবাড়ি করে দেশের উন্নয়ন অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করবেন না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দেশ গড়তে, দেশের উন্নয়নে ব্যস্ত। আর ওনারা সবকিছু হারিয়ে এখন দল রক্ষার জন্য শেষ চেষ্টা করছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র করছে, হুঙ্কার দিচ্ছে। ১০ ডিসেম্বরের পর এতিমের টাকা মেরে খাওয়া খালেদা জিয়ার কথায় নাকি দেশ চলবে! এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ যখন মাঠে নেমেছে, তখন তারা ব্যাকফুটে চলে গেছে।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশকে আর খুনি-সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য বানাতে দেওয়া হবে না। যশোর-খুলনাসহ সারা দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আগামীতেও আওয়ামী লীগকে আবার নৌকায় ভোট দেবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার।
জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযুষ ভট্টাচার্য, আবদুর রহমান, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য আমিরুল আলম মিলন, ইকবাল হোসেন অপু, পারভিন জামান কল্পনা, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, শেখ আফিল উদ্দিন, কাজী নাবিল আহমেদ, নাসির উদ্দিন, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য প্রমুখ।