সরকার হটাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন

ফানাম নিউজ
  ০৯ অক্টোবর ২০২১, ১৭:২৬

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ইস্পাতের ন্যায় কঠিন গণ ঐক্য তৈরি করে এই সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।

শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক মহসিন সরকারের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


জাতীয় পার্টি এই স্মরণসভার আয়োজন করে।

মোশাররফ বলেন, আমাদের একটাই স্বার্থ, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সেটা করতে হলে এই সরকারের পতন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, জনগণের ভোটাধিকার—এগুলো সব একই দাবি। এই এক দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আরও বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে আমরা এই সরকারকে হটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।

তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, ২০ দলীয় জোট এবং দেশের গণতান্ত্রিক জনগণ আগামী নির্বাচনে যাবে না, যেতে পারে না। এর সঙ্গে বলতে চাই সেই নির্বাচন ইনশাআল্লাহ করতেও দেওয়া হবে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এই স্বৈরাচারী সরকারকে হঠাতে হবে। এজন্য একটি কঠিন আন্দোলনের সৃষ্টি করতে হবে। জনগণ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত, আপনারা কথা বলে দেখেন—মানুষ এই সরকারের বিদায় চায়, পরিবর্তন চায়। যদি এই দেশকে বাঁচাতে হয়, দেশের স্বার্থকে রক্ষা করতে হয়, সেক্ষেত্রে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হয়, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হয়। এই লুটেরা অর্থনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে এই সরকারকে হটানো ছাড়া আমাদের সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই। যদি সরকার হটে যায় তাহলে আগামী নির্বাচন একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করা সম্ভব।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজ যে জাতীয় সংকটে আমরা উপনীত হয়েছি তার থেকে মুক্ত হতে হলে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণ যাদের ভোট দেবে সেই প্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করবে। জনগণের প্রতিনিধি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, মানবাধিকার, সাম্য ও সামাজিক বৈষম্য দূর করা সম্ভব। তাই এদেশকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ  গণ আন্দোলনের বিকল্প নেই। এই গণ আন্দোলনের জন্য বিএনপি, ২০ দল এবং গণতান্ত্রিক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হাওলাদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাপা মহাসচিব আহসান হাবিব লিঙ্কন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।