আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা

ফানাম নিউজ
  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৩৭

আসন্ন ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৬১ জেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজেদের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

দলটির সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় মনোনয়ন চূড়ান্ত করে।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন। সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসন। প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয় গত ২৩ জুলাই। আগামী ১২ অক্টোবর এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিকেল চারটায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, কাজী জাফর উল্লাহ, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আবদুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র, রশিদুল আলম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা


রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়ে আবু তোয়বুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কুরাইশী, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নীলফামারীতে মমতাজুল হক, লালমনিরহাটে মতিয়ার রহমান, রংপুরে ইলিয়াস আহমেদ, কুড়িগ্রামে মো. জাফর আলী ও গাইবান্ধায় আবু বকর সিদ্দিক মনোনয়ন পেয়েছেন।

রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাটে খাজা সামছুল আলম, বগুড়ায় মো. মকবুল হোসেন, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মো. রুহুল আমিন, রাজশাহীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, নাটোরে সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও পাবনায় আ স ম আব্দুর রহিম পাকন মনোনয়ন পেয়েছেন।

খুলনা বিভাগের মেহেরপুরে আব্দুস সালাম, কুষ্টিয়ায় সদর উদ্দিন খান, চুয়াডাঙ্গায় মাহফুজুর রহমান মনজু, যশোরে সাইফুজ্জামান পিকুল, মাগুরায় পংকজ কুমার কুন্ডু, নড়াইলে সুবাস চন্দ্র বোস, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনায় শেখ হারুনুর রশীদ ও ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে সাতক্ষীরায় কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

বরিশাল বিভাগের বরগুনায় জাহাঙ্গীর কবির, পটুয়াখালীতে খলিলুর রহমান, ভোলায় আব্দুল মুমিন টুলু, বরিশালে এ কে এম জাহাঙ্গীর, ঝালকাঠীতে খান সাইফুল্লাহ পনির ও পিরোজপুরে সালমা রহমান মনোনয়ন পেয়েছেন।

ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক, কিশোরগঞ্জে জিল্লুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহীউদ্দীন, মুন্সিগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন , ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, গাজীপুরে মোতাহার হোসেন, নরসিংদীতে আবদুল মতিন ভুঞা, নারায়ণগঞ্জে চন্দন শীল, রাজবাড়ীতে এ কে এম শফিকুল মোরশেদ, ফরিদপুরে মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, গোপালগঞ্জে মুন্সী মো. আতিয়ার রহমান, মাদারীপুরে মুনির চৌধুরী ও শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান মনোনয়ন পেয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুরে মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ্, শেরপুরে চন্দন কুমার পাল, ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান ও নেত্রকোনায় মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট অসিত কুমার সরকার। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জে মো. খায়রুল কবির রুমেন, সিলেটে মো. নাসির উদ্দিন খান, মৌলভীবাজারে মিছবাহুর রহমান ও হবিগঞ্জে ডা. মো.মুশফিক হুসেন চৌধুরী মনোনয়ন পেয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মামুন সরকার, কুমিল্লায় মফিজুর রহমান বাবলু, চাঁদপুরে মো. ইউসুফ গাজী, ফেনীতে খায়রুল বশর মজুমদার, নোয়াখালীতে আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, লক্ষ্মীপুরে মো. শাহজাহান, চট্টগ্রামে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম ও কক্সবাজারে মনোনয়ন পেয়েছেন মোস্তাক আহমদ চৌধুরী।