আরেকটি ১৫ই আগস্ট ঘটাতে আস্ফালন করছে ঘাতকরা : শিক্ষামন্ত্রী

ফানাম নিউজ
  ২৬ আগস্ট ২০২২, ১৭:১৯

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একাত্তরের ঘাতক, পচাত্তরের ঘাতক, ২০০৪ এর ২১ আগস্টের ঘাতক, ২০১৩-১৪ অগ্নি সন্ত্রাসের ঘাতকের দল এক ও অভিন্ন। আজও তারা আস্ফালন করে আরেকটি ১৫ই আগস্ট ঘটানোর জন্য।

এজন্য তিনি সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে। যেন কোনোভাবেই এরা সফল হতে না পারে।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যিালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৫ই আগস্টে যারা সরাসরি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল, আমরা শুধু তাদের বিচার করেছি। তার পেছনে সকল কুশিলবকে আমরা এখনও সরাসরি চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে পারিনি। সে কাজটি করার দাবি এখন জোরালো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনাকে গত ৪১ বছরে অন্তত ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ বিরোধী। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের সমমনা ও অন্যদিকে যারা তাদের কোনো আদর্শ নেই। অগ্নি সন্ত্রাস, এতিমের অর্থ আত্মসাত, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গ্রেনেড দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া, এগুলো কোনো আদর্শ হতে পারে না। যুদ্ধের সময়টা মুজিবের নামে যুদ্ধ হয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর এদেশ তখন মুজিবের দেশ নামে পরিচিত। বাঙালি মুজিবের বাঙালি। সে কারণে তিনি এ জাতিরাষ্ট্র গঠনের মহানায়ক।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পাবনা-২ আসনের সাংসদ আহমেদ ফিরোজ কবির, পাবনা-৪ আসনের সাংসদ নুরুজ্জামান বিশ্বাস, অ্যাটকোর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, বাংলাদেশ সরকারি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. নূরজাহান বেগম।

অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।

এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’ এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করে শিক্ষামন্ত্রীসহ অতিথিরা। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মাঝে গবেষণা সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রামান্যচিত্র প্রদর্শণ করা হয়।