শিরোনাম
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে গত সোমবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নানান ধরনের শারীরিক পরীক্ষার কথা জানিয়ে সেদিন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেড এম জাহিদ বলেছিলেন, মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সব পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। কিন্তু বুধবার (২৪ আগস্ট) পার হয়ে গেলেও, এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
তবে বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, হাসপাতালে ম্যাডামের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ বলেছিলেন এক-দুদিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। সেসব প্রতিবেদন পাওয়া গেছে কী না আমার জানা নেই।
একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সভা হবে। সেখানে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে চিকিৎসার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতালে প্রবেশ করেন খালেদা জিয়া। এর আগে বিকেল ৩টা ৫৭ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সন্ধ্যা ৭টা ০৮ মিনিটে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবনে ফিরে যান।
এর আগে সর্বশেষ চলতি বছেরের ১১ জুন তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাঝরাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৪ জুন বিকেল ৫ টায় হাসপাতাল থেকে বাসায় আসেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাগারে যেতে হয় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও তার সাজার রায় আসে।
দেশে করোনা মহামারী শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। শর্ত দেওয়া হয়, তাকে দেশেই থাকতে হবে।
কারাগার থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজায় ওঠেন, এখনো তিনি সেখানেই থাকছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া ছয় দফায় বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে হৃদযন্ত্রের রক্তনালীতে ব্লক, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।
গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথাও জানান চিকিৎসকরা।
নানা জটিলতার উন্নত চিকিৎসার দাবি করে বিদেশে পাঠানোর জন্য কয়েক দফা আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার। কিন্তু সাময়িক মুক্তির শর্তে বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবারই তা নাকচ করেছেন আদালত।