শিরোনাম
‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দলের কেউ না’-এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান।
সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে দল বিব্রত কি না? সে পরিপ্রেক্ষিতে আমি সাংবাদিকদের বলেছি উনি দলের এমন কোনো নেতা নন, দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কেউ নন যে তিনি আওয়ামী লীগের পলিসি সম্পর্কে কথা বলতে পারেন। তাই তার কথার দায়দায়িত্ব আওয়ামী লীগ নিতে পারে না।’
প্রসঙ্গত, ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট স্মরণে শনিবার আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলের কেউ না বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ-সদস্য অবশ্যই। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তো কেউ নন। যেহেতু কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে বিদেশে গিয়ে কিছু বলা, সে দায়িত্ব আওয়ামী লীগ কাউকে দেয়নি, ওনাকেও (এ কে আব্দুল মোমেন) দেয়নি। কাজে তিনি (আবদুর রহমান) সঠিক বলেছেন।’
সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে গিয়ে অনেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমি দেশটিতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। আজকে অনেকের বক্তব্যে সেটাই এসেছে। শেখ হাসিনা আমাদের আদর্শ। তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।’
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে ভারতের ভূমিকা সম্পর্কিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের ওই বক্তব্য শুক্রবার দেশের সব জাতীয় দৈনিক গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে। এরপরই শুরু হয় সমালোচনা, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন একজন আইনজীবী। ওই নোটিশে তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর