শিরোনাম
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘যারা মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তারাই এখন বর্তমান নির্বাচিত সরকারকে হুমকি-ধমকি দিয়ে পতনের দুঃস্বপ্ন দেখছে। শুধু নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন সম্ভব। কোনো ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২০২৩ সালে এ দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে। জনগণ আমাদের ক্ষমতার উৎস। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই আমরা আবার আগামী দিনে সরকার গঠন করতে চাই। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহযোগিতা করা।’
শনিবার (২০ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত সময়ে বিএনপি এ দেশের যে ক্ষতি করেছে, সর্বনাশ করেছে, যেভাবে তারা নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়েছে, সেই কবর থেকে বিএনপি কোনো দিন বের হতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে তারা যদি নিজেদের সম্পৃক্ত করতে না পারে, মানুষের কাছে যদি ক্ষমা না চায়, যারা শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, দুর্নীতি করেছে, দেশকে ধ্বংস করেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে, তারা এ দেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা আন্দোলন ও স্বাধীনতার আগের সব আন্দোলনের মহানায়ক। তিনি অবিসংবাদিত নেতা। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, যা পরদিন ২৭ মার্চ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। অথচ বিএনপি দাবি করছে, তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। এটি ইতিহাসের চরম মিথ্যাচার। বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। এটি আজ সর্বজনীন সত্য ও স্বীকৃত।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান।