শিরোনাম
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চলমান সংলাপে অংশগ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে দলটির সংলাপের সময়সূচি নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এ দিন দলটির কোনো প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে আসেনি।
এ বিষয়ে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা যাব না। তাদের (ইসির) অনুরোধ অফিসিয়ালি রিগ্রেট (প্রত্যাখ্যান) করেছি। আমরা বলেছি ধন্যবাদ সহকারে অপারগতা প্রকাশ করা হলো।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল কল্যাণ পার্টি। জোটটির আরেক শরিক দল মুসলিম লীগও গতকাল নির্ধারিত ইসির সংলাপে কোনো প্রতিনিধিদল পাঠায়নি।
এ বিষয়ে মুসলিম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি এই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বসতে রাজি নয়। তাই আমরাও সংলাপে যাইনি। আমরা মনে করি, এই ইসির অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
প্রায় দেড় বছর আগেই গত ১৭ জুলাই থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে দেশের নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে ধারাবাহিক সংলাপ করছে। এ পর্যন্ত দুটি রাজনৈতিক দল সংলাপ বর্জন করল। এর আগে গত জুন মাসে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছিল কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এতে ১১টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি।
দলগুলো হলো বিএনপি, সিপিবি, বাসদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)।
এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাগরিক, সম্পাদক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংলাপ করেছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের কমিশন। তারা জানায়, এসব সংলাপে পাওয়া পরামর্শগুলো পর্যালোচনা করে আগামী নির্বাচনের রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে।