শিরোনাম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি উচ্চ আদালত কর্তৃক মীমাসিংত ইস্যু, এ নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোন সুযোগ নেই।
আরও বলেন, শেখ হাসিনা থাকলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। শেখ হাসিনা নির্বাচনে কোন প্রকার হস্তক্ষেপ হোক, এটা চান না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে সোমবার (১৮ জুলাই) সকালে সংস্থাটির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কোন ক্ষমতা নেই’— বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে মির্জা ফখরুলের এ ধরনের বক্তব্য দেশের গণতন্ত্র, সকল সংসদ সদস্য এবং সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি নির্মম উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।
‘বর্তমান সরকার যদি পরিবর্তন না হয় এবং নিরপেক্ষ সরকার যদি না আসে, তাহলে দেশেকোন নির্বাচন হবে না’— মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সরকার পরিবর্তন চায়, অথচ নির্বাচনে আসেন না। সরকার পরিবর্তন চাইলে তো নির্বাচনে আসতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই।
নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বারবার কথা বলা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ বিএনপির তথাকথিত নিরপেক্ষ নির্বাচন আগেই দেখেছে। তাদের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সবক মানায় না। তাদের নেত্রী এক সময়ে বলেছিলেন যে, ‘শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়।’ কাজেই বিএনপি নেতাদের নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা দ্বিচারিতার যে রাজনীতি, তা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
সরকার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত কমিশনকে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা দিয়ে যাবে— জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার ক্ষমতায় থাকলেও নির্বাচন সংক্রান্ত সবকিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।
নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হলে বিএনপির ভাষায় তাদেরকে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার গ্যারান্টি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।