শিরোনাম
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
রোববার (১৭ জুলাই) ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসেনের আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে আসতে পারেননি। এ বিষয়টি উপস্থাপন করে তার আইনজীবী আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে চার্জ শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে আসতে পারেননি। পরে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেন। এরপর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন। এ বিষয়টি উপস্থাপন করে তার আইনজীবী আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে দুদকের শুনানি শেষে ২৪ জুলাই আসামিপক্ষের শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। কমিশনের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড কোম্পানিকে (গ্যাটকো) পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৩মে তদন্ত শেষে দুদক খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামিদের মধ্যে ১২ জন মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১৩ জনে নেমে এসেছে।
মামলার জীবিত আসামিরা হলেন সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌসচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।