শিরোনাম
জঙ্গিদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালানো। সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
মো. আসাদুজ্জামান জানান, আড়াইহাজার ও বন্দর এলাকার দুটি জঙ্গি আস্তানা থেকে নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিচয়ের আড়ালে জঙ্গি আস্তানা গড়ে তুলেছিল। সেখান থেকে বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, নোয়াগাঁও মিয়াবাড়ি জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনের আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার বাসার একটি গোপন কক্ষ থেকে তিনটি বড় বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। মামুন ‘ডেভিড কিলার’ নামে পরিচিত। পরবর্তী হামলার জন্য মামুন শক্তিশালী বোমা বানিয়ে রেখেছিল। আল মামুন কয়েক মাস আগে নোয়াগাঁও মিয়াবাড়ি জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবে যোগদান করে। নিজের বাসায় সে জঙ্গি আস্তানা গড়ে তুলেছিল। মামুন বোমা বানানোয় বিশেষ পারদর্শী।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান জানান, আড়াইহাজারে অভিযানের পরই জেলার বন্দর থানার হাজীপাড়ায় আরেক জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে মসজিদের ইমাম আবু নাইমের কক্ষের তালা ভেঙে বোমা বানানোর সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ওই এলাকার আহলে হাদীস মসজিদের ইমামের দায়িত্ব নিয়ে মাসখানেক আগে এই টিনের ঘর ভাড়া নেয় নাইম। নাইমকে নব্য জেএমবিতে ডাকা হতো মেজর ওসামা নামে। নাইম জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য। সে বোমা বানানোর একজন প্রশিক্ষকও।