শিরোনাম
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শনিবার তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, চিকিৎসকেরা খালেদা জিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। এনজিওগ্রাম করার পর চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন পরবর্তীতে কি চিকিৎসা দেবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা উদ্বেগের মধ্যে আছি। সকালে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা তাকে দেখেছেন। তারা নিজেরা বৈঠক করে আলোচনা করেছেন।
খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও তিনি জানান।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যালোচনায় বৈঠকে বসে মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকার বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে সিসিইউতে (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট) রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরপরই খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা তাৎক্ষণিকভাবে করা হয়।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
এর আগে টানা দুই মাস ২১ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত পয়লা ফেব্রুয়ারি গুলশানের বাসায় ফিরেছিলেন খালেদা জিয়া।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই সময়ে তার শরীরে কয়েক দফায় অস্ত্রোপচার করা হয়।
গত বছরের ২৮ নভেম্বর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই দিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে হাইকোর্ট।
পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাতেও তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সরকার প্রধানের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে দণ্ড স্থগিত করে তাকে ছয় মাসের জন্য সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয়।
এরপর কয়েক দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সূত্র: দেশ রূপান্তর