শিরোনাম
মধ্যরাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে।
শুক্রবার (১০ জুন) দিনগত রাত ৩টা ২০ মিনিটে দলের চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে ভর্তির পর সেখানে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাত দুটোর দিকে ডাক্তার জাহিদের (বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন) কাছে খবর পাই ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) অসুস্থ বোধ করছেন। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিতে হবে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ম্যাডামের ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন। আমি চলে আসি, আসার পরে চেয়ারম্যান সাহেবের (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান) সঙ্গে কথা হয়। তার স্ত্রী ডক্টর জোবায়দা রহমানের সঙ্গে কথা হয়। হসপিটালে ইমিডিয়েটলি আনার সিদ্ধান্ত হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ডাক্তাররা এরইমধ্যে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করেছেন, তাতে দেখা গেছে আগের দিন বিকেল থেকে তার হার্টের কিছু সমস্যা দেখা গেছে। উনি তো একটু চাপা মানুষ, বলেননি কাউকে। আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় যখন ডাক্তার জাহিদ এবং সিদ্দিক সাহেব তাকে চেকআপ করতে গেছেন তখনই তার প্রবলেমের বিষয়টি জানা যায়। তখনই হাসপাতালে আনার সিদ্ধান্ত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আল্লাহর হুকুমে ম্যাডাম এমনিতে এখন স্ট্যাবল আছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিশেষ করে এনজিওগ্রাম করার পর বোঝা যাবে সমস্যা কতটা জটিল। এমনিতেই তো দেশনেত্রী গুরুতর পেসেন্ট। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এর সঙ্গে হার্টের প্রবলেম হলে তা তো নিঃসন্দেহে জটিল আকার ধারণ করে।
তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী আল্লাহর কাছে দোয়া করি আগের মতোই তিনি অসুস্থতা কাটিয়ে উঠবেন এবং সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
এসময় দেশবাসীর দোয়া চেয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া সিসিইউতে আছেন। আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টায় চিকিৎসকদের বোর্ড বৈঠকে তার পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সূত্র: জাগো নিউজ