শিরোনাম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ঢুকে হামলা করেছে অথচ প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটির নেতারা একটি বিবৃতি পর্যন্ত দিলেন না। কারণ আজকে সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে সরকার।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, কী নৃশংসভাবে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে আহত করছে। শুধু ছেলেদের নয়, মেয়েদের ওপর হামলা করেছে। মেয়েদের একজন আইসিইউতে ভর্তি আছেন। ছাত্রলীগ লাঠি নিয়ে রাজপথে প্রতিপক্ষকে যেভাবে আঘাত করেছে তাতে মনে পড়ে গেছে পল্টনে লগি, লাঠি, বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যার মতো পৈশাচিক ঘটনা। এটা হলো আওয়ামী লীগের চরিত্র। তারা একটি সন্ত্রাসী দল।
তিনি বলেন, জন্মের শুরু থেকে এভাবে সন্ত্রাস করে আসছে আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠাতা মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগে টিকতে পারেননি। দলটির কাউন্সিলে তাকে হেনস্তা করা হলে ভাসানী বেরিয়ে গিয়ে নতুন দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি করেন। গত ১৩ বছরে আওয়ামী লীগ আমাদের নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করেছে। ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীদের ওপর মামলা রয়েছে। আমি নিজে বহুবার কারাগারে গেছি। এ অবস্থার অবসান হতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, পদ্মা সেতু থেকে আমাদের নেত্রীকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথা বলেছেন। যার যে অবস্থান আছে সে অবস্থানে থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কারণ এ সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এনপিপি আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাসহ আমন্ত্রিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
সূত্র: দেশ রূপান্তর