নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে এক চুলও নড়ব না : ওবায়দুল কাদের

ফানাম নিউজ
  ২২ মে ২০২২, ১৭:০২

জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচন পরিচালনা সঙ্গে জড়িতরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে কমিশনকে সরকার সহযোগিতা করবে। এর বাইরে আওয়ামী লীগ এক চুলও নড়বে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রবিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মৎস্যজীবী লীগের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করে লাভ নেই। সর্বোচ্চ আদালত একে জাদুঘরে পাঠিয়েছে। ভারতসহ পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে সরকারের যে দায়িত্ব সেইভাবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই হবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের শেখ হাসিনা সরকার কমিশনকে সহযোগিতা করবে। এটাই নিয়ম। এর বাইরে আমরা এক চুলও নড়ব না। এটা মেনেই আপনাদের আসতে হবে।’

নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী, বিজিবি, নির্বাচন পরিচালনা যারা করবেন তারা সরকার নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকবে। নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপরে শেখ হাসিনার সরকারের কোন কর্তৃত্ব থাকবে না বলে জানান কাদের।
 
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, বলেন, ভয় পাচ্ছেন কেন? ভয় পাবেন না। রেগে যাচ্ছেন কেন? রেগে গেলে হেরে যাবেন। ভয় পাবেন না, ভয়কে জয় করুন।

বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব চিৎকার-চেঁচামেচি করে লাভ নেই। নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা ছাড়ার অন্য কোন বিকল্প পথ নাই। কাজেই সরকার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে। সোজা পথে আসেন, বাঁকা পথে গেলে হবে না। আগুন সন্ত্রাস করে নিজেদের জনপ্রিয়তা যা ছিল সেটাও হারিয়েছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলেছেন এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না। নির্বাচন যাবেন না গতবারও বলেছিলেন শেষ পর্যন্ত পানি ঘোলা করে ঠিকই গেছেন। সময় আসলে এবারও যাবেন। এখন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা অপচেষ্টা করছে বিএনপি।

নির্বাচনই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র পথ জানিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, নির্বাচনে আসুন। শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে। তিনি বলেছেন, ‘আমি যদি হেরে যাই, আমি চলে যাবো।’

দেশের মানুষ ভালো থাকলে বিএনপির মন খারাপ হয় জানিয়ে কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন বিএনপির জ্বালা। আগামী মাসে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে, এক কথা শুনলেই মুখ কালা হয়ে যায়। এ কথা কেউ বললেই মুখ কালো হয়ে যায়। আপনারা নির্বাচনে আসেন জিতুন কে নিষেধ করেছে? আসবেন তো, এত পানি ঘোলা করছেন কেন?’

মৎস্যজীবী লীগের কাজ ঢাকা শহরে না জানিয়ে দলটির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনাদের কাজ গ্রাম বাংলায়, সারা বাংলায়। যেখানে মাছের উৎপাদন হয়, সেটাই আপনাদের কর্মস্থল। ঢাকায় বসে বসে নেতাগিরি করলে হবে না, কমিটি হয়েছে। সেটার ব্যাপারে একটা অভিযোগ এসেছে, সেটা খতিয়ে দেখবো।

মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সায়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্করের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।

সূত্র: দেশ রূপান্তর