শিরোনাম
নির্বাচন-নির্বাচন খেলা আর হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমাদের কথা খুব পরিষ্কার। নির্বাচন হতে হলে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন-নির্বাচন খেলা আর হবে না। নির্বাচন হতে হবে অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায়।
শনিবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে। এখনও সময় আছে মানুষের ভাষাগুলো পড়েন। দেয়াল লিখন দেখেন। দেখে এই নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান তৈরি করে সরে যান। জনগণ যেন তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে পথ তৈরী করে দেন।
নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনার হুদা সাহেব নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরো ধ্বংস করে দিয়েছেন। কিন্তু মজার কথা হচ্ছে, তিনি বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত।
‘যাওয়ার সময় হয়েছে তো। এখন তো আর আগের মতো প্রটেকশন পাবেন না।
তিনি বলেন, আন্দোলন ছাড়া, গণঅভ্যুত্থান ছাড়া এই দানবকে সরানো যাবে না। এই দানবকে সরাতে হলে আমাদের সব মানুষকে, সব রাজনীতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে, আবারও তারা ক্ষমতায় আসবে ওই ধরনের একটা নির্বাচন দিয়ে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। তার মধ্যে আবার ইভিএম চালু করছে। এটা আরেকটা বড় হাতিয়ার; কী করে ভোট চুরি করা যায়, কী করে ভোট না পেয়েও নিজেকে নির্বাচিত ঘোষণা করা যায় তার বড় হাতিয়ার এই ইভিএম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করবার যে ভয়াবহ চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র, আমাদের এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাংবাদিক মাহবুব উল্লাহ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলারা জামান।