শিরোনাম
বিরোধী দলের মধ্যে যারা নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের স্বাগত জানাবে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। বিরোধী দলও যারা যারা নির্বাচন করবে তাদের স্বাগত। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে।
গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টার মতো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিরোধী দল তাদের মিটিং-মিছিল-সমাবেশ স্বাধীনভাবে করুক। আমাদের তরফ থেকে বাঁধা সৃষ্টির কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি।’
ডিসেম্বরে সম্মেলন হবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘তিন বছর পর পর আমাদের সম্মেলন হয়। ডিসেম্বরেই শেষ হবে...। নেত্রী যেভাবে তারিখ দেবেন সেভাবেই হবে। এখন থেকেই গঠনতন্ত্র ও ঘোষণা পত্রকে আপডেট করার জন্য এবং নির্বাচনি ইশতেহার তৈরি করার জন্য নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সহযোগী সংগঠনের বিষয়ে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা আছেন, তাদের নেত্রী বলেছেন, প্রত্যেক বিভাগের দায়িত্বপাপ্তরা তাদের বিভাগের আওতাভুক্ত সহযোগী সংগঠনের খোঁজ-খবর রাখবেন। সম্মেলন করার বিষয়টি বলা হয়েছে।’
সহযোগী হোক আর আমাদের মূল পার্টির হোক, মেয়াদোত্তীর্ণ সব সম্মেলন জাতীয় সম্মেলনের আগে শেষ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিভক্তি নিয়ে কখনও নির্বাচনে অংশ নেবে না। আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত দল। শৃঙ্খলার যেখানে যেখানে ঘাটতি আছে, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে বিভাগীয় নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিতে না পারলে সেটা নেত্রী পর্যায়ে আসবে।’
কাদের বলেন, ‘পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ও জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান জোরদার করতে হবে। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।’
সংগঠনের শৃঙ্খলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ও নীলফামারীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। জলঢাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। শোকজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নীলফামারীর ডোমারে কাউকে কাউকে অব্যাহতি দিয়ে শোকজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডোমারের সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যেসব জায়গায় বিদ্রোহীরা দলের পদে আছে, সেখানে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করে মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলনের কাজ সমাপ্ত করতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ সব জেলা ও উপজেলা সম্মেলনগুলোর কাজ শেষ করতে হবে। আমাদের অন্তত ৪০টি উপজলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে এবং ৭টির মতো জেলার সম্মেলন ১২ মে থেকে শুরু হবে।’
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘বিভাগীয় সম্পাদক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সম্পাদকদের রিপোর্ট নেত্রী শুনেছেন। তিনি শুনে সন্তুষ্ট হয়েছেন যে সংগঠন সচল রয়েছে। জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত পার্টি হিসেবে আওয়ামী লীগকে দাঁড় করাতে হবে পরবর্তী নির্বাচনে বিজয়ের জন্য।’