শিরোনাম
নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপি নিজেদের ধ্বংস করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ জামালের ৬৯ তম জন্মদিন উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রতিদিনই বলেন আওয়ামী লীগ দেশ ধ্বংস করছে, অর্থনীতি ধ্বংস করছে। তার মুখে শুধু ধ্বংসের বাণী। তিনি শুধু ধ্বংসের কথাই জানেন। কারণ তারা নিজেরা ক্ষমতায় থাকতে ধ্বংসই করে গেছেন। তারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন এখনও ধ্বংসই চান।
দেশে এখনো হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ হয়নি উল্লেখ করে কাদের বলেন, একুশে আগস্টের প্রাইম টার্গেট শেখ হাসিনা আজও তাদের টার্গেট। শেখ হাসিনার উন্নয়ন অর্জনে ঈর্ষান্বিত হয়ে অনেকেই বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিকে গণতন্ত্র এবং প্রগতির পথে বাধা হচ্ছে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা। পরবর্তীকালে এই সংশ্লিষ্টতা আমাদের দেশের রাজনীতিতে অলঙ্ঘনীয় দেয়াল হয়ে ওঠে। সেই অলঙ্ঘনীয় দেয়াল বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলার মাটি থেকে চিরতরে বন্ধ করে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের এই দিনে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সব দেশ প্রেমিক শক্তিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করতে চায়- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির জাতীয় সরকার লেজেগোবরে ছিল গতবার, এবারও জাতীয় সরকার কী হবে তা তাদের রাজনীতি দেখেই বোঝা যায়।
এসময় শেখ জামালের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, রক্তাক্ত বিদায়ের স্মৃতি এতই বিষাদের যে আজকে জন্মদিনের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে। এই প্রজন্মের অনেকের কাছে শেখ জামাল পরিচিত নন। শেখ জামাল অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার সঙ্গে শেখ জামালও বন্দিত্ববরণ করেন। কিন্তু শেখ জামাল আগস্ট মাসে হানাদারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারতের আগরতলায় পালিয়ে যান। ভারতে গিয়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন এবং নয় নম্বর সেক্টরে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন।
কাদের বলেন, শেখ জামাল দেশমাতৃকার অত্যন্ত সম্ভাবনাময় সন্তান ছিলেন। সেনাবাহিনীতে তার আচরণ ও ডিসিপ্লিনের প্রতি ঊর্ধ্বতন অফিসাররা সবাই মুগ্ধ ছিলেন। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে দেশমাতৃকার সম্ভাবনাময় মেধাবী সন্তানকে ঘাতকেরা হত্যা করেছিল। সেদিন যদি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশে থাকতেন তাদের হত্যা করা হতো। একটা পরিবারকে সেদিন ধ্বংস করার জন্য এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সেদিন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে মানবজাতির ইতিহাসে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। অবলা নারী, অবুঝ শিশু কেউই রেহাই পায়নি।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।