শিরোনাম
দুটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
সোমবার দুপুরের দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত চিঠি দুদক কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়া হয়। চিঠি পৌঁছে দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু।
এর আগে, গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, দলের সর্বোচ্চ ফোরামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত দুটি বিষয়ে তদন্ত করার জন্য দুদকে চিঠি দেওয়া হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্নীতি এখন সবচেয়ে বড় ব্যাধি। এটা এখন ক্যানসার মতো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘুষ দেওয়া ছাড়া কারও কোনো কাজ হবে না, কথা শুনবে না, আইন আদালতে বিচার পাবে না।
তিনি বলেন, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আদালতে, সেখানেও দুর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হয় না। এর কারণ হলো সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। কয়েকটি বিষয় আমরা তুলে ধরেছিলাম, এর মধ্যে একটা ছিল টেলিফোনে কথোপকথন। যেটা আইনমন্ত্রীর স্বীকারোক্তি ছিল ‘ইনোসেন্ট কনভারসেশন’বলে। ওই ইনোসেন্ট কনভারসেশনের মধ্যে যে বিষয়গুলো ছিল সেটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। সেই বিষয়গুলোর ওপরে কোনো তদন্ত হলো কিনা সেটা আমরা জানতে চেয়েছিলাম। এছাড়া ফরিদপুরে একটি পরিবারের দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের একটা ঘটনা ছিল। পরে দেখা যায় এগুলো আস্তে আস্তে ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আমাদের দলের সর্বোচ্চ ফোরামে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুটো বিষয় নিয়ে দুদকে চিঠি দেব। চিঠিতে তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করা হবে। ধারাবাহিকভাবে যেসব ইস্যু আসছে সেগুলো সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরব। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠাব।
তিনি বলেন, গত ১৪ মার্চ আমাদের সময় পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত‘লোভী মানুষের সীমাহীন দুর্নীতি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি চিঠির সঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টির ওপরে আমরা তদন্ত করতে বলেছি। এছাড়া ইউটিউবে প্রচারিত আইনমন্ত্রীর কথোপকথনের বিষয়টিও এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকাল পত্র-পত্রিকাগুলোতে সাহস করে সরকারের দুর্নীতি তুলে ধরা হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সে বিষয়গুলোর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। আপনারা লক্ষ্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনে যারা একটু কাজ করতে চান, তাদের বিরুদ্ধে দুদকই ব্যবস্থা নেয়। এর প্রধান কারণ দুদকে বেশির ভাগই আমলা অথবা সাবেক আমলাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা সচেতনভাবে চেষ্টা করেন সরকারের উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারও বিরুদ্ধে যেন তদন্ত না হয়।
সূত্র: দেশ রূপান্তর