শিরোনাম
সেনাপ্রধান হয়ে জিয়া যদি দল করতে পারে, আইজিপির প্রতিউত্তর যথার্থ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমান যদি সেনাবাহিনীর প্রধান হয়ে দল করতে পারেন, রাজনীতি করতে পারেন, আবার রাষ্ট্রপতিও হয়ে যেতে পারেন তাহলে পুলিশের আইজি উদ্ভট কথার প্রতিউত্তরে যদি কিছু বলে থাকেন, সেটি যথার্থই বলেছেন।
বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান কোন আইনবলে সেনা বাহিনীর প্রধান হয়ে, সেনা বাহিনীর পোশাক পরে রাজনীতি করেছিলেন? বিএনপি গঠন করেছিলেন এবং রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন?
শনিবার দুপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে আমি বলতে চাই, তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের আতিথেয়তায় ছিলেন, ক্যান্টনমেন্টেই ছিলেন। নতুন বউয়ের আদরে তাকে আতিথেয়তা দেওয়া হয়েছিল। হঠাৎ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব আবিষ্কার করলেন, খালেদা জিয়া না কি নারী মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা কী তার কাছে আমি জানি না। কোন সময় যে বলে বসেন, রাজাকারও আসলে মুক্তিযোদ্ধা!
তিনি বলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনার যখন এর সমালোচনা করলেন তখন বিএনপি মহাসচিব এবং অন্যান্য নেতারা পুলিশের আইজি ও ডিএমপি কমিশনারের সমালোচনা করলেন। একটি অসত্য-উদ্ভট কথার জবাবে যদি কেউ বলে থাকে, এটি প্রত্যেক নাগরিকের বলার অধিকার আছে।
পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছেন সেটার প্রমাণ দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা স্থাপন। আমাদের পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। এ জনবহুল দেশে আমাদের পুলিশ বাহিনী যেভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে কাজ করছে এটি সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই এলাকার আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে আওয়ামী লীগ বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে- বিএনপির এমন বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবরা তো কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে দৌড় দেন। কোনো কিছু হলেই বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ডেকে কথা বলেন। এমনকি মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব নিজে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেসম্যানদের কাছে বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য। বেগম খালেদা জিয়া নিজের নামে নিবন্ধ লিখেছেন ওয়াশিংটন টাইমসে বাংলাদেশকে যাতে সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে। জিএসপি সুবিধা যাতে বাতিল করে। যারা কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে দৌড় দেয়, তারাই এসব উদ্ভট কথা বলতে পারে। আওয়ামী লীগ সরকারের ভিত জনগণের মধ্যে। এখানে কাউকে বিদেশিরা ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। আমরা জনগণের ক্ষমতায় বলিয়ান, আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। বিদেশিদের কাছে ক্ষণে ক্ষণে দৌড় দেয় বিএনপি এবং তার মিত্ররা।
গণমাধ্যমকর্মীদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য অপচেষ্টা হয়। সেগুলো আমরা সব সময় কঠোর হস্তে দমন করেছি। কে হিজাব পরবে পরবে না সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করার কোনো সুযোগ নেই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার যদি কেউ চেষ্টা করে সেটি আমরা কঠোর হস্তে দমন করবো।