শিরোনাম
গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেফতার বিএনপিনেতা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের মুক্তি দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ইশরাক হোসেন একজন প্রতিবাদী বলিষ্ঠ তরুণ নেতা। তার সাহসী ভূমিকায় সরকার ভীত। তাই তিনি আওয়ামী প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির শিকার হলেন।
বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাকের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আজ মতিঝিল এলাকায় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে প্রচারপত্র বিলি করার সময় পুলিশ বিনা উস্কানিতে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে প্রচারপত্র বিলির মতো একটি জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি থেকে তাকে গ্রেফতারে আবারও প্রমাণ হলো, এ সরকার চরম জুলুমবাজ। ভয়াবহ আওয়ামী দুঃশাসনে জনগণের তীব্র ক্ষোভের মুখে সরকার এখন নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি বলেন, দিন যতোই অতিবাহিত হচ্ছে ভোটারবিহীন সরকারের জিঘাংসার মাত্রা ততোই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। চারদিকে দুর্ভিক্ষের ন্যায় পরিস্থিতি বিরাজ করায় সরকার জনগণকে দমনের জন্য হয়রানি, জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইশরাককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, অবৈধ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী নিষ্ঠুর সরকার এখন বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিকভাবেও বিচ্ছিন্ন হয়ে এ সরকার ক্রুব্ধ হয়ে উঠেছে। এ ভয়ঙ্কর ক্রোধের বিষাক্ত ছোবল গিয়ে পড়ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর। সেজন্যই দেশে আইনের শাসনের বদলে আওয়ামী শাসনের এক বীভৎস বিকৃত রূপ ফুলে-ফেঁপে উঠেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শাসকগোষ্ঠী দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।
২০২০ সালের করা অগ্নিসংযোগের এক মামলায় বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বর এলাকা থেকে ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শ্রমিক দলের লিফলেট বিতরণে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি।
গ্রেফতারের পর তাকে আদালতে হাজির করা হলে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত।
সূত্র: জাগো নিউজ