জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

ফানাম নিউজ
  ১৩ মার্চ ২০২২, ০১:২৩

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জবির টিএসসিতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। 

এ বিষয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করলে দ্বিতীয় দফায় পুরান ঢাকার মালিটোলা পার্কে আবার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ এ আহতদের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যামবুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হস্তান্তর করা হয়। 

আহত ছাত্ররা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১১তম ব্যাচের আব্দুল বারেক, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যচের গাজী শামসুল হুদা, খায়রুল আমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের ১৫তম ব্যাচের সায়েম।

আহত ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল বারেক জানান, এমন একটি বিষয় কল্পনাও করিনি এরা আমার গায়ে হাত দিবে। ক্যাম্পাসে ঝামেলা যাতে না হয় সেজন্য আমরা মালিটোলা পার্কে চলে যাই সেখানে গিয়েও আমাদের উপর হামলা করে। 

আব্দুল বারেক আরও জানান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের সিফাত ও ইমরুল কায়েস শিশিরের নেতৃত্বে মনোবিজ্ঞান বিভাগের ১৩তম ব্যাচের বাবু, ১৪তম ব্যাচের জয়, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১৪তম ব্যাচের সোহান, ১৫তম ব্যাচের ফাহিম, দর্শন বিভাগের ১৫তম ব্যচের সৈকত আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কয়েকজন কর্মী নবীন শিক্ষার্থীদের দলে ভিড়ানোকে কেন্দ্র করে সভাপতি গ্রুপের ১৫তম ব্যাচের একজনকে টিএসসিতে মারধর করে। পরে সভাপতি গ্রুপের সিনিয়র কয়েকজন এসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের দুইজনকে মারধর করে। ঘটনার পর সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছেড়ে মালিটোলায় অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা মালিটোলায় সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের ধাওয়া করলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

এ বিষয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইন বলেন, যারা মারামারি করেছে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়। অনুপ্রবেশকারীরা ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্য ব্যক্তিগত স্বার্থে এসব কর্মকাণ্ড করছে। ক্যাম্পাসের বাইরে কেউ যদি কোনো ধরনের ঝামেলা করে সে দায়িত্ব তো আমরা নিব না।

জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, এখানে ছাত্রলীগের মধ্যে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্য অনুপ্রবেশ কারীরা ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর হামলা করেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: যুগান্তর