শিরোনাম
অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরা আগামীতে আওয়ামী লীগের টিকিট পাবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনাসভায় এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন কেন্দ্র করে সব নেতাকর্মীকে শপথ নিতে হবে। নির্বাচন কেন্দ্র করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। ত্যাগী কর্মীদের দিয়ে দল সাজাতে হবে। যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তারা আগামীতে আওয়ামী লীগের টিকিট পাবেন না।
‘আগামী নির্বাচনে আরও আধুনিক স্মার্ট আওয়ামী গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য দলের মধ্যে কোনো বসন্তের কোকিল নয় ত্যাগীদেরই জায়গা করে দিতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা আজ একটি ব্র্যান্ডের নাম। শেখ হাসিনা নিজেই একটি ইতিহাস। ইতিহাসের প্রয়োজনে শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ওঠে এসেছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বনেতার কাতারে পৌঁছেছেন শেখ হাসিনা। তাই তো শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব ও জাতিসংঘের বক্তব্যের কারণে বিশ্বে প্রশংসিত।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। এ দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে। দেশের মানুষ ভালো আছেন। শেখ হাসিনা সাহসী নেতৃত্বের কারণেই বাংলায় আজ সোনালি আকাশ। দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বে রোল মডেল শেখ হাসিনা।
গণতন্ত্রের নামে তামাশা করেছিল বিএনপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের নামে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল বিএনপি। বহু দলীয় গণতন্ত্রের নামে এই গণতন্ত্রকে নিয়ে তামাশা করছিল বিএনপি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে কেনো সংসদে আসেনি এটা কোন গণতন্ত্র?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন যথাসময় গণতন্ত্র অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি সিরিজ সভা করছে, তারা নাকি আন্দোলন করবে। দেশের মধ্যে আন্দোলনের নামে কোনো সহিংসতা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। এ জন্য আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
‘আগামী নির্বাচনে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা, (বিএনপি) আপনাদের কে? পালাতক আসামি? যদি আপনারা পলাতক আসামিকে নেতা বানান, দেশের মানুষ কখনও গণতন্ত্রের নেতা মেনে নেবে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ কেন্দ্রীয়ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। সূত্রঃ যুগান্তর